ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:৫০:০৫ এএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৭ এএম

অনলাইন সংস্করণ

সিবিডিসির জনপ্রিয়তা কমছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিকল্প সমাধান খুঁজছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৭ এএম

সিবিডিসির জনপ্রিয়তা কমছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিকল্প সমাধান খুঁজছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি: সংগ্রহীত

সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি) আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য সম্ভাবনাময় মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হলেও বৈশ্বিক মুদ্রাব্যবস্থায় সমন্বিত নেটওয়ার্কের অভাব এবং নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কায় এটি জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। ওএমএফআইএফর ডিজিটাল মনিটারি ইনস্টিটিউট (ডিএমআই)-এর বার্ষিক সেন্ট্রাল ব্যাংকার জরিপে দেখা গেছে, সিবিডিসিকে আন্তর্জাতিক লেনদেনের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সমাধান হিসেবে চিহ্নিত করা উত্তরদাতাদের হার ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম।

 

 

জরিপে আরও জানা যায়, গত এক বছরে সিবিডিসি নিয়ে কাজ করা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। যেখানে গত বছর ২১ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ে কাজ করেছিল, চলতি বছরে তা ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।

 

 

অন্যদিকে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টস (বিআইএস) ‘আগোরা’ নামের একটি সিবিডিসি-ভিত্তিক পেমেন্ট সিস্টেম চালু করেছে, এবং চীনের পিপলস ব্যাংক তাদের প্রকল্প ‘এমব্রিজে’র অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। তবে এই প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সত্ত্বেও সিবিডিসি নিয়ে কাজ করার প্রবণতা কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণসংশ্লিষ্ট জটিলতা ও বিদ্যমান পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিয়েছে।

 

 

প্রযুক্তির বিকাশে গুগল, আলিবাবা, মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য এবং টোকেনাইজেশন প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত মজুদ গঠনের ঝুঁকি দেশগুলোর আর্থিক স্বাধীনতায় প্রভাব ফেলতে পারে। সিবিডিসি মূলত এই ঝুঁকি কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে চালু হলেও, একটি একক বৈশ্বিক পদ্ধতি গড়ে না ওঠায় তা প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

 

 

ডিএমআইয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে এমব্রিজ উদীয়মান অর্থনীতির জন্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে, আর আগোরা মার্কিন ডলারের আধিপত্য ধরে রাখার পক্ষে ভূমিকা রাখবে। তবে বিশেষজ্ঞরা একটি সমন্বিত ‘হাব-এন্ড-স্পোক’ মডেলের প্রস্তাব দিয়েছেন, যেখানে প্রতিটি দেশের সিবিডিসি নিজস্ব নিয়মে চললেও একটি কেন্দ্রীয় কাঠামোর সঙ্গে যুক্ত থাকবে।

 

 

মার্কিন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ব্যারি আইচেনগ্রিন বলেছেন, আন্তর্জাতিক লেনদেন কার্যকর করতে একাধিক সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সমন্বয় প্রয়োজন। এর জন্য একটি শক্তিশালী কাঠামো প্রয়োজন যা বিদ্যমান ব্যাসেল কমিটির চেয়েও কার্যকর হবে।

 

 

সিবিডিসি নিয়ে কমতি আশা সত্ত্বেও জরিপে অংশগ্রহণকারীরা সুইফটসহ বিদ্যমান অবকাঠামোকে আধুনিকায়নের পক্ষে মত দিয়েছেন। তাদের মতে, তাৎক্ষণিক পেমেন্ট সিস্টেম উন্নয়নই ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সমাধান।

সিবিডিসির জনপ্রিয়তা কমছে, আন্তর্জাতিক লেনদেনে বিকল্প সমাধান খুঁজছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক