ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:৫২:৩১ এএম

সেন্টমার্টিনের ভবিষ্যৎ: পর্যটন বনাম পরিবেশ রক্ষার দোলাচল

২০ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪৪ এএম

সেন্টমার্টিনের ভবিষ্যৎ: পর্যটন বনাম পরিবেশ রক্ষার দোলাচল

ছবি: সংগ্রহীত

পরিবেশ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ, সেন্টমার্টিনে পর্যটন সীমিত

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বর্তমানে একটি কঠিন দোলাচলে রয়েছে। একদিকে স্থানীয়দের দাবি, পর্যটন তাদের প্রধান আয়ের উৎস। অন্যদিকে, পরিবেশবিদদের সতর্কবার্তা, এই অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনই দ্বীপটির প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংসের কারণ হয়ে উঠছে। দ্বীপ রক্ষায় সরকার পরিবেশ সুরক্ষার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অনিয়ন্ত্রিত পর্যটনের ফলে দ্বীপের প্রবাল ধ্বংস হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪৫ সালের মধ্যে সেন্টমার্টিন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।’’

পর্যটন নিয়ন্ত্রণে নতুন নিয়ম

সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী:

  • নভেম্বর মাসে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরতে হবে। দ্বীপে রাত যাপন নিষিদ্ধ।
  • ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে প্রতিদিন ২ হাজার পর্যটক যেতে পারবেন। এ সময়ে রাত যাপনও অনুমোদিত।
  • ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কোনো পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না।

এই পদক্ষেপের লক্ষ্য দ্বীপের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং প্রবাল সংরক্ষণ।

দ্বন্দ্বের ভবিষ্যৎ

সেন্টমার্টিন নিয়ে স্থানীয়দের জীবিকা বনাম পরিবেশ রক্ষার বাস্তবতা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে পরিবেশবিদদের মতে, প্রবাল রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতে পর্যটনের জন্যও সেন্টমার্টিনের অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।

সেন্টমার্টিনের ভবিষ্যৎ: পর্যটন বনাম পরিবেশ রক্ষার দোলাচল