ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুরের ঋণের টাকা পাবে রাশিয়া
৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪১ পিএম
![সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুরের ঋণের টাকা পাবে রাশিয়া](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/05/20241205123712_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণের মূল অর্থ ও সুদ পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং রাশিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ইআরডি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কাজ করবে এবং এ অ্যাকাউন্টে ঋণের মূল অর্থ ও সুদ নিয়মিত জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
এই চুক্তির আওতায় ঢাকার সোনালী ব্যাংকের একটি স্থানীয় শাখায় রাশিয়ার সরকারের নামে বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খোলা হবে। রাশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয় এই অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করবে এবং চূড়ান্ত অনুমোদনের পর অর্থ স্থানান্তর শুরু হবে।
এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকা ঋণ পরিশোধের জটিলতা সমাধানের দিকে একটি পদক্ষেপ নেওয়া হলো। ইআরডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্টটি শুধুমাত্র ভবিষ্যতের ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহৃত হবে, তবে পূর্ববর্তী বকেয়া অর্থের পরিশোধ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
রূপপুর প্রকল্পের মোট ব্যয় ছিল ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলার, যার ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করেছে রাশিয়া। ২০১৬ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, ২০১৭ সাল থেকে ঋণ বিতরণ শুরু হয় এবং ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণ পুরোপুরি বিতরণের কথা ছিল। তবে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর সঙ্গে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়, ফলে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সরকার রাশিয়ার পাওনা পরিশোধের জন্য একটি এসক্রো অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা রেখেছিল, তবে রাশিয়া সরাসরি তহবিল ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর, দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য না হওয়ায় সোনালী ব্যাংকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রূপপুর প্রকল্পের কাজ এখনও সম্পূর্ণ না হওয়ায়, বাংলাদেশ সরকার ঋণ বিতরণের সময়সীমা ২০২৬ সাল পর্যন্ত এবং পরিশোধের সময়সীমা ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য রাশিয়াকে চিঠি পাঠিয়েছে। প্রকল্পের ৬৭.৮১ শতাংশ কাজ অক্টোবর পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে, বকেয়া সুদ পরিশোধের অনিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও, রাশিয়া এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ঋণ পরিশোধের জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে এই জটিলতা কিছুটা হলেও সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
![সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে রূপপুরের ঋণের টাকা পাবে রাশিয়া](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)