ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৩:০৪:৫৬ পিএম

স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমেছে ৫০০ কোটি ডলার

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৫:২৮ পিএম

স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমেছে ৫০০ কোটি ডলার

ছবি: সংগ্রহ

২০২৪ সালে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের প্রবাহে বড় ধরনের হ্রাস দেখা গেছে। গত বছর এই খাতে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার কম এসেছে, যা এক বছরের জন্য নেওয়া ঋণকে নির্দেশ করে। দেশের অর্থনীতির নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ঋণপ্রবাহ কমার পেছনে মূলত ডলারের সুদের হার বেড়ে যাওয়া, টাকার মান কমে যাওয়ার শঙ্কা, বাংলাদেশর কান্ট্রি রেটিং কমে যাওয়া এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা দায়ী বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মন্তব্য করেছেন।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে মোট বিদেশি ঋণ এসেছে ২১.০৪ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ছিল ২৫.৮ বিলিয়ন ডলার। গত বছর সুদসহ ঋণ পরিশোধ হয়েছে ২৩.১৬ বিলিয়ন ডলার, যা ঋণ নেওয়ার তুলনায় ২.১২ বিলিয়ন ডলার বেশি। ২০২৩ সালেও ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ঋণ পাওয়ার চেয়ে ৪.৬৩ বিলিয়ন ডলার বেশি।

 

 

বিশ্ববাজারে ঋণের সুদের হার বাড়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সংশয় তৈরি হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা ও টাকার অবমূল্যায়নও ঋণ গ্রহণে আড়ষ্টতা সৃষ্টি করেছে। তবে, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ব্যবসায়ীরা গত বছরের তুলনায় এখন ঋণ পরিশোধে অধিক মনোযোগী হয়ে উঠেছেন।

 

 

এছাড়া, গত বছর বিদেশি ঋণের স্থিতি ১০.১৩২ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা ২০২৩ সালের ১১.৭৯৩ বিলিয়ন ডলার থেকে কম। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, ঋণ পরিশোধের চাপে ঋণের পরিমাণ কমেছে, এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব নিয়ে সতর্ক হয়ে উঠেছে।

 

 

বিশ্ববাজারে সুদহার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে অনাগ্রহী হচ্ছেন এবং সুদের হার ও ডলার রেটের ওঠানামার কারণে ব্যাংকগুলো বিদেশি ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। এর ফলে, গত বছর ব্যাংকগুলোর জন্য ঋণ সরবরাহ কমেছে এবং পূর্বের ঋণগুলি সমন্বয়ের জন্য ডলার ক্রয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

 

মোটের উপর, ব্যবসায়ীরা ঋণ পরিশোধে বেশি মনোযোগী হলেও, আন্তর্জাতিক আর্থিক পরিস্থিতি ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ২০২৪ সালে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণের প্রবাহ কমে গেছে।

স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমেছে ৫০০ কোটি ডলার