ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৫৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ
হাইকমিশন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করলো বাংলাদেশ
৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৫৩ এএম
![হাইকমিশন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করলো বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/04/20241204094820_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনের কার্যক্রম পরবর্তী সময়ে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। গতকাল মঙ্গলবার সহকারী হাইকমিশনের প্রধান মো. আল আমীনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশন আগরতলাতে সব ধরণের ভিসা ও কন্স্যুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
চলমান নানা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চলছেই। এর জেরে দুই দেশেই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপরে আগরতলার রবীন্দ্র সদন চত্বরে গতকাল ‘বাংলাদেশ চলো’ কর্মসূচি পালন করেছে সেখানকার একটি সংগঠন। একই সঙ্গে ঢাকায়ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে। প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও।
সিলেটের তিন সীমান্তে থাকা স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বেনাপোলসহ সবকটি স্থলবন্দরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় কমে গেছে। যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল প্রায় ফাঁকা। ইমিগ্রেশনে অধিকাংশ কাউন্টারের কর্মকর্তারা হাত গুটিয়ে বসে আছেন। শ্রমিকদের তেমন ব্যস্ততা নেই। অনেকটা শঙ্কা-সংশয় নিয়ে ভারত থেকে যাত্রীরা ফিরছেন। তবে বাংলাদেশ সীমান্তে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।
গত সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালায় দেশটির একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা। এ সময় তারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুনও দেয় বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ভারত বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে এমন ঘটনা আগে কখনো হয়নি। এ ঘটনায় গত সোমবারই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট তৎপর ছিল না। এদিকে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে থাকা বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশন ও সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ত্রিপুরা সরকার মঙ্গলবার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত এবং একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করেছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তলবের জবাব দিয়ে ফেরার সময় প্রণয় ভার্মা সাংবাদিকদের জানান, যাই হোক না কেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রেখে কাজ করে যাবে।
নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন গতকাল নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করলে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হবে না, বরং ভারতেরই ক্ষতি হবে। উপদেষ্টা বলেন, ভারত সরকার গায়ে পড়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তারা ভালো থাকতে পারবে না। মূলত ভারতের কিছু রাজনীতিবিদ নির্বাচনে ভোট পাওয়ার উদ্দেশ্যে এবং সেখানকার কিছু গণমাধ্যম বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে কোনো অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে না বলে প্রত্যাশা করি। ভারত একটি বৃহৎ দেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্কই রাখা উচিত। ভারত যদি সেটা না করে এটা ভালো লক্ষণ নয়। ভারত সরকার যদি গায়ে পড়ে ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তারা ভালো থাকতে পারবে না।
সিলেটের ৩ বন্দর-স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ : ভারতের লোকজনের বাধা ও পণ্য পরিবহন জটিলতায় সিলেটের স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে শেওলা স্থলবন্দর ও জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। এর আগে গত সোমবার জকিগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে কিছু কমলা আমদানি হলেও আর কোনো পণ্য আমদানি বা রপ্তানির খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, পাথরবাহী ট্রাকে কাদামাটি ও আবর্জনা এবং ‘ওয়েট স্কেলে’ ওজন জটিলতার কারণে ১৬ দিন ধরে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে পাথর-কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে।
সব মিলিয়ে সিলেটের দুটি স্থলবন্দর ও একটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে সিলেটের ভোলাগঞ্জ শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি স্বাভাবিক আছে। তবে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়নি। ভারত থেকে পণ্য না আসায় বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, গত রোববার থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ও বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সিলেট সীমান্তের ওপারে বিক্ষোভ করছেন ভারতীয় লোকজন। সনাতনী ঐক্য মঞ্চের ব্যানারে ‘চল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে গত রোববার ভারতের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশনে মিছিল নিয়ে জড়ো হন কয়েকশ হিন্দু লোক। বিক্ষোভকারীরা একপর্যায়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশের প্রস্তুতি নিলে বিএসএফ ও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে বিক্ষোভকারীদের বাধার মুখে সুতারকান্দি শুল্ক স্টেশন দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে সিলেটের শেওলা স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সীমান্তে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি ঠেকাতে সতর্ক বিজিবি : বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জানিয়েছে, সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে এ বাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, সীমান্তে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি কিংবা অপতৎপরতা রোধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন বিজিবি সদস্যরা।
ভারতীয় দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তা জোরদার : ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি নামের একটি সংগঠন ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভারতীয় দূতাবাসে প্রবেশের বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে রাজধানীর শাহজাদপুর এবং কূটনৈতিক জোন বলে পরিচিত সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। বাঁশতলা থেকে ভারতীয় দূতাবাসগামী কিছু রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগ।
দূতাবাসের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) তারেক মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আগরতলায় যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি নামে একটি সংগঠন গতকাল বেলা ২টার দিকে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করার কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। তিনি বলেছেন, দূতাবাস এলাকায় বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আগরতলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাত, সাসপেন্ড তিন পুলিশ : ত্রিপুরা থেকে স্থানীয় সাংবাদিক নিতাই দে ভোরের কাগজকে বলেন, গত সোমবার ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। একই সঙ্গে তিনজন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড ও ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসারকে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে। ত্রিপুরা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা ছাড়া আর কে কে সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় জড়িত ছিল, তা ভিডিও ফুটেজ দেখে খুঁজে বের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবারের ঘটনার পরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে একাধিকবার পুলিশ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ওই উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ যথেষ্ট সংখ্যাতেই ছিল। সহকারী হাইকমিশন পরিসরের ভেতরে বাইরে মিলিয়ে ২৬০ জন ডিউটিতে ছিলেন। কিন্তু গোটা ঘটনা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। আমরা কিন্তু প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভকারীদের বাধা দিই। তবে ওই কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়ে যায়। নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ, ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস এবং পুলিশ বাহিনী ছিল। তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নিয়েছিল। তবুও কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে বাহিনীর তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে; আর যে ডিএসপি সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাকে ক্লোজ করা হয়েছে।
ভারতকে ‘সুপ্রতিবেশীসুলভ’ আচরণ করার পরামর্শ ঢাবি শিক্ষার্থীদের : ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যের প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষার্থীরা, নবগঠিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির (স্মারক) সদস্যরা, জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও শামিল হয়েছিলেন তাতে। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সাঈদ আহমেদ সরকার বলেন, ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ভুল বোঝাবুঝি তৈরি করা হচ্ছে। তাদের বোঝা দরকার যে এখানে একটি গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।
বাংলাদেশকে আগের মতো ট্রিট করলে সেটা তাদের ভুল হবে। আমাদের বক্তব্য হলো, তোমরা তোমাদের জায়গায় থাকো। আমাদের দেশে হিন্দু বলে কোনো কথা নাই। আমরা সবাই বাংলাদেশি। শিক্ষার্থীরা যে মিছিল বের করে, তাতে একাত্মতা জানিয়েছিল জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরাও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে হিন্দুসহ অন্যান্য অমুসলিম শিক্ষার্থীরা থাকেন। ভারতে সংঘটিত ওই ঘটনার বিরুদ্ধে ওই হলের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করায় সেই মিছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপকভাবে আলোচিতও হয়।
![হাইকমিশন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল বন্ধ করলো বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)