ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৫১:১৩ পিএম

১০ ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার অনুসন্ধান করবে এনবিআর

২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:১৫ পিএম

১০ ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার অনুসন্ধান করবে এনবিআর

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের শীর্ষ ১০ ব্যবসায়ী গ্রুপ এবং তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের তদন্তে যৌথ অনুসন্ধান দল গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই দলটি আন্তসংস্থা টাস্কফোর্সের অধীনে কাজ করবে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা করবে। তদন্তের মূল উদ্দেশ্য হল, বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং অর্থ পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।


এনবিআর এর অধীনে একটি নতুন জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম (জেআইটি) গঠন করা হয়েছে, যাতে যুক্ত রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর (সিআইআইডি)। এই দলগুলো দেশের বাইরে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে।

 

এনবিআর এর আয়কর বিভাগের ১০ জন কর পরিদর্শক এবং কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ১০ জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা প্রধানত কর ফাঁকি, অর্থ পাচার এবং মানিলন্ডারিং আইনের অধীনে অপরাধগুলোর তদন্ত করবেন।

 

 

জেমকন গ্রুপ মো. নাসিরউদ্দিন (কর পরিদর্শক) ও মোছা. সিরাজুম মনিরা (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা) সামিট গ্রুপ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন (কর পরিদর্শক) ও মো. গোলাম মোস্তফা (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)। ওরিয়ন গ্রুপ কাজী নুরুল ইসলাম মুকুল (কর পরিদর্শক) ও মো. আতিকুল ইসলাম (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)। নাসা গ্রুপ মো. মঞ্জুর হাসান (কর পরিদর্শক) ও মোসাম্মৎ ফেরদৌসী আক্তার (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)। শিকদার গ্রুপ নাজমুল হোসাইন (কর পরিদর্শক) ও মো. শাহাবুল হক (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা) । বেক্সিমকো গ্রুপ মো. সিরাজুল ইসলাম খান (কর পরিদর্শক) ও মো. শাহজাহান মিয়া (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)। নাবিল গ্রুপ মো. ইয়াছিন আলী (কর পরিদর্শক) ও এস এম খালেদুর রহমান (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)। এস আলম গ্রুপ নূরুচ্ছাদাৎ তপু (কর পরিদর্শক) ও মো. ফাহাদ চৌধুরী (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)। সাইফুজ্জামান চৌধুরী মো. রেহানুল হক (কর পরিদর্শক) ও এস এম সায়েম (সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা)

 

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তদন্তের প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থের প্রমাণ সংগ্রহ করা। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে কীভাবে অর্থ পাঠানো হয়েছে— এলসি বা টিটি চ্যানেলের মাধ্যমে, তা শনাক্ত করা হবে। এজন্য ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে।

 


এস আলম, বেক্সিমকো, নাবিল ও জেমকন গ্রুপের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত করছে, যেখানে অর্থ পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। বাকি গ্রুপগুলোর তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে দুদক।

 


এনবিআরের যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল এখন দেশে ও বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে কাজ করছে। আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এই অর্থ পুনরুদ্ধার করতে তারা ব্যাংকিং চ্যানেল ও অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। আশা করা হচ্ছে, এ ধরনের তদন্ত দেশের আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা এবং আইনানুগ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করবে।

১০ ব্যবসায়ী গ্রুপের অর্থ পাচার অনুসন্ধান করবে এনবিআর