ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:১২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
২০২৪ সালে সার আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ
১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৭:১২ এএম
![২০২৪ সালে সার আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/18/20250118161409_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বিদায়ী বছরে দেশে ইউরিয়া, ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি), ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) ও মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) মিলিয়ে মোট ৪৭ লাখ টন সার আমদানি হয়েছে। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩৮ লাখ টন। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে সারের আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
দেশের কৃষি খাতে ইউরিয়া, টিএসপি, ডিএপি ও এমওপি—এ চার ধরনের সারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে কৃষি উৎপাদনে। তাই চাষাবাদ ও ফসলের উৎপাদন ঠিক রাখতে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করতে হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এক বছরের ব্যবধানে সার আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ২০২৪ সালে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি মিলিয়ে মোট ৪৭ লাখ টন সার আমদানি হয়েছে। এ পরিমাণ সারের কাস্টমস শুল্কায়িত মূল্য ২৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ লাখ ২৩ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতেই ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। এছাড়া ৩ হাজার ১৫৫ কোটি টাকায় ৫ লাখ ৬৯ হাজার টন টিএসপি, ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি টাকায় ১০ লাখ ২৮ হাজার টন এমওপি এবং ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকায় ১৪ লাখ ২৭ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালে ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি মিলিয়ে মোট ৩৮ লাখ টন সার আমদানি করা হয়। এ পরিমাণ সারের কাস্টমস শুল্কায়িত মূল্য ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ লাখ ৯৭ হাজার টন ইউরিয়া আমদানিতে ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা। এছাড়া ২ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকায় ৪ লাখ ২০ হাজার টন টিএসপি, ৬ হাজার ৫০২ কোটি টাকায় ১১ লাখ টন এমওপি এবং ৭ হাজার ৮০৩ কোটি টাকায় ১০ লাখ ৬২ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হয়।
এদিকে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তাই কৃষিকাজে চাহিদা অনুসারে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানিনির্ভরতা আরো বেড়েছে। সাম্প্রতিককালে বন্যাসহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পুনরায় ইউরিয়ার পাশাপাশি অন্য সারের চাহিদাও বেড়েছে। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সারের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) আহমেদ ফয়সল ইমাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ের চাহিদা নিরূপণ করে তার ভিত্তিতেই সার আমদানি করা হয়। এখন পর্যন্ত বিসিআইসি, বিএডিসি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যে পরিমাণ আমদানি হয়েছে সেটা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঠিক আছে। তবে সাম্প্রতিক বন্যার কারণে একই জমিতে পুনরায় সারের চাহিদা তৈরি হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ২৫ হাজার টন রক ফসফেট আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে ব্যয় হচ্ছে ২১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এজন্য সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আমদানিসংক্রান্ত আলাদা দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। রক ফসফেট আমদানির প্রস্তাব করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)। এ প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়েছে টিএসপি সার উৎপাদনকারী দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেড। টিএসপি সার উৎপাদনের অন্যতম কাঁচামাল রক ফসফেট।
![২০২৪ সালে সার আমদানি বেড়েছে ১৯ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)