ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৬:২৬:১৯ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪০ এএম

অনলাইন সংস্করণ

৪ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ

২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১:৪০ এএম

৪ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ

ছবি: সংগ্রহ

জাহাজ কিছুটা কম এলেও দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে কনটেইনার ওঠানামা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ; তবে কমেছে কার্গোতে আনা পণ্যের পরিমাণ। জাহাজ আসার সংখ্যা ও কার্গো হ্যান্ডলিং কিছুটা কম হলেও কন্টেইনার ওঠানো-নামানোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং জাহাজের গড় অবস্থানকাল কমে আসে।

 

ইতিবাচকভাবে দেখছেন বন্দরের কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, আগস্ট মাসের আগে-পরে যে অস্থিরতা ছিল, সেটি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, জাহাজ আসার সংখ্যা কম মানে আমদানি-রপ্তানি কম, তা ঠিক নয়। আগে যেখানে ছোট আকারের জাহাজে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার পাঁচশ’র মতো কনটেইনার আসত, সেখানে একটু বড় আকারের জাহাজে করে দুই হাজার পর্যন্ত কন্টেইনার আসছে।

 

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে আমদানি ও রপ্তানি মিলিয়ে বন্দরে ওঠানামা হয়েছে ১১ লাখ এক হাজার ৯১৭ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে হিসেবে) কন্টেইনার। ২০২৩ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৭ টিইইউস। এ হিসাবে ৭১ হাজার ১৬০টি কন্টেইনার বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে; শতকরা হিসাবে বেড়েছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ। 

 

২০২২ সালের একই সময়ে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৯ টিইইউস। এ বছরের জুলাইয়ে দুই লাখ ৭১ হাজার ৩৩৫ টিইইউস, আগস্টে দুই লাখ ৭১ হাজার ৮৬৯ টিইইউস, সেপ্টেম্বরে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৩২৪ টিইইউস ও অক্টোবরে দুই লাখ ৭৫ হাজার ৩৮৯ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়। অপরদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মিলিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো (খোলা পণ্য) হ্যান্ডলিং হয়েছে তিন কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৫০২ মেট্রিক টন, ২০২৩ সালের এ সময়ে যা ছিল চার কোটি ছয় লাখ ১৬ হাজার ২৮৩ টন। কার্গো হ্যান্ডলিং কমেছে ১৪ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮১ টন। ২০২২ সালে কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছিল তিন কোটি ৯৮ লাখ ২৯ হাজার ৩৬২ টন।

 

চট্টগ্রাম বন্দরে গত চার মাসে জাহাজ এসেছে এক হাজার ২৮১টি, যা গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ১৬১টি কম। ২০২৩ সালের এ সময়ে এসেছিল এক হাজার ৩৯২টি। ২০২২ সালের একই সময়ে বন্দরে আসা জাহাজের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪৬০টি।

 


চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে জাহাজ কম এলেও সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ অতীতে কিছুটা ছোট জাহাজে কম কন্টেইনার আসত। এখন বড় জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারছে। সেসব জাহাজ বেশিসংখ্যক কন্টেইনার নিয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ বাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অগ্রগতির সূচক নির্দেশ করা বলে মনে করেন বন্দর সচিব।

 


গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামানও আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে তিন মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, তিন মাসে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে আট লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউস, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউস বেশি। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। তিনি বলেন, গত ১৬ জুলাই পড়ে থাকা কন্টেইনার ছিল সাড়ে ৪৫ হাজার, যা ধারণক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ। গত তিন মাসে তা কমে ৩৪ হাজারে নেমে এসেছে। এছাড়া বন্দরে জাহাজের গড় অপেক্ষমাণ সময়ও কমে এক দিনে নেমে এসেছে।

৪ মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ