ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:১৯:৩৫ এএম

৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ফ্ল্যাট-জমির মালিক হয়েছেন মতিউরের বান্ধবী

৪ জুলাই, ২০২৪ | ৩:৪ পিএম

৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ফ্ল্যাট-জমির মালিক হয়েছেন মতিউরের বান্ধবী

আলোচিত ছাগলকান্ডের রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সাথে সম্পর্ক রেখে অনেক সম্পদের মালিক আরেক এনবিআর কর্মকর্তা আরজিনা খাতুন। রাজধানীতে ফ্ল্যাট গ্রামে আলিশান বাড়ি পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি বাসায় বিলাসবহুল ইনটোরিয়র এবং আমি সব আসবাবপত্র করেছেন।

মাত্র তিন বছরে ৫০০ ভরি স্বর্ণালংকার এর মালিক তিনি। 200 ভরি আবার চোরাচালানের মাধ্যমে আনা। দুদকের কাছে এই অভিযোগ এসেছে।

 

রাজস্ব বোর্ডের মুসক মনিটরিং পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব এই আরজিনা খাতুন। এর আগে ছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপ-কমিশনার। ১০ জুন দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন একজন। বলা হয় মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি মানি লন্ডারিং স্বর্ণ চোরাচালান সাথে যোগসাজশ আর দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা।

 

এর ভিত্তিতে যমুনা নিউজের অনুসন্ধান। রাজধানীর মিরপুরে প্রায় দুইহাজর বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে থাকেন। কিনেছিলেন 1 কোটি 30 লাখ টাকায় কিন্তু রেজিস্ট্রেশন খরচ দেখিয়েছেন মাত্র 68 লাখ। ফ্লাট টি কিনতে গিয়ে তিনি ব্যাংক ঋন করেন 2020 সালে। কিন্তু অনুসন্ধানে পাওয়া গেল ফ্ল্যাট কেনা আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে এক বছর আগেই। নেতা বাসায় ব্যয়বহুল আসবাব আবার অত্যাধুনিক ইন্টেরিয়র করেছেন এক বছরের মধ্যে। আরজিনা খাতুন এর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারুয়া এর তালুকপাড়া গ্রামে। কাস্টমসে চাকরির তিন বছরের মধ্যে গ্রামের টিনের বাড়িটি বদলে করেছেন আলিশান এক ভবন।

 

দুদকের অভিযোগে বলা হয় চট্টগ্রামে বদলির পর 2022 সালে গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন পাঁচটি জমি যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। আরো কোটি টাকার জমি বন্ধক নেন আরজিনা। যে গহনা তিনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন তার বেশিরভাগই হীরার, যার মূল্য 10 লাখ টাকা বলা হয়েছে দুদকে পড়া অভিযোগে। 2018 থেকে ২৩ সালের মধ্যে 500 ভরি স্বর্ণ আর ডায়মন্ড কিনেছেন নগত টাকায়।

 

যার ২০০ ভরি সিএন্ডএফ এর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে এনেছেন বলে প্রমান সহ অভিযোগ করেছেন দুদকের টেবিলে ।

 

2022 থেকে শেয়ারবাজারেও আছেন সরকারি এই কর্মকর্তা, একদিনে বিনিয়োগ করেন 10 লাখ টাকা লাভ করেন প্রায় দ্বিগুণ। আছে তিনটি ব্যাংক একাউন্ট, বিনিয়োগ আছে সঞ্চয়পত্র। মতিউর রহমানের সাথে একই ব্রোকারেজ হাউসে একইরকম বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। অভিযোগ আছে কারসাজি করে মতিউরই আর্জিনাকে শেয়ারবাজারে মুনাফা তুলে দেন।

সূত্র: যমুনা টিভি।

 

 

৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ফ্ল্যাট-জমির মালিক হয়েছেন মতিউরের বান্ধবী