ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:০৯:১৪ পিএম

৫৬ হাজার কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি ১০টি ব্যাংকের

২১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:০ পিএম

৫৬ হাজার কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি ১০টি ব্যাংকের

ছবি: সংগ্রহ

সরকারি ও বেসরকারি খাতের ১০টি ব্যাংক ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রভিশন (নিরাপত্তা সঞ্চিতি) রাখতে পারছে না। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকে মোট প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।



বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে: সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০টি ব্যাংকের মোট সঞ্চিতি ঘাটতির পরিমাণ ৫৬ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। কয়েকটি ব্যাংক তাদের লক্ষ্যমাত্রার বেশি সঞ্চিতি রেখেছে, যার ফলে ব্যাংক খাতে সার্বিক প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা।


গত জুনে ব্যাংক খাতের প্রভিশন ঘাটতি ছিল ৩১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে প্রভিশন ঘাটতি বেড়েছে ২৪ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা।

 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখন ব্যাংকের যে অবস্থা তাতে প্রভিশন ঘাটতি হবে। কারণ দিন দিন খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এরপরও সম্প্রতি খেলাপি ঋণ অনেক বেড়ে গেছে। তাই প্রভিশন ঘাটতি বাড়বে। এখানে শতভাগ প্রভিশন রাখা দরকার। এখানে একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িত।

 

‘‘এভাবে প্রভিশন বাড়তে থাকলে ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে যাবে। প্রভিশন ঘাটতি কমাতে হলে আগে খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে দিতে হবে, যাতে টাকাগুলো আবার ফেরত আসে।’’

 

নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফার ০.৫ থেকে ৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটাগরির ঋণের বিপরীতে প্রভিশন হিসেবে, নিম্নমানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে ২০ শতাংশ এবং সন্দেহজনক খেলাপি ঋণের বিপরীতে রাখতে হয় ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া প্রতিটি ব্যাংকের জন্য মন্দ বা লোকসান ক্যাটাগরির খেলাপি ঋণের বিপরীতে ১০০ শতাংশ প্রভিশনিং আলাদা করে রাখার বিধান রয়েছে।

 

প্রভিশন ঘাটতি ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি অশনিসংকেত, কারণ এটি ব্যাংকগুলোর দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে, যা মূলত উচ্চ খেলাপি ঋণের ফল।

৫৬ হাজার কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি ১০টি ব্যাংকের