ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:৫১:২০ পিএম

৯৭ শতাংশ কর্মীই গত পাঁচ বছরে গেছেন মাত্র ১০ দেশে

৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১:০ এএম

৯৭ শতাংশ কর্মীই গত পাঁচ বছরে গেছেন মাত্র ১০ দেশে

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশীদের জন্য ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে বিদেশের শ্রমবাজার। জাল কাগজপত্র, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে চলতি বছরই বেশকিছু দেশে শ্রম অভিবাসন বন্ধ হয়েছে।

 

বাংলাদেশীদের জন্য ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে বিদেশের শ্রমবাজার। জাল কাগজপত্র, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে চলতি বছরই বেশকিছু দেশে শ্রম অভিবাসন বন্ধ হয়েছে। বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজ করছেন—এমন প্রচারণা থাকলেও বাংলাদেশী কর্মীদের অভিবাসন মূলত কয়েকটি দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রতি বছর সিংহভাগ অভিবাসী উপসাগরীয়, অন্যান্য আরব, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১২-১৩টি দেশেই যাচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে ৯৭ শতাংশ কর্মী গেছেন মাত্র ১০টি দেশে। চলতি বছরে ৯০ ভাগ বাংলাদেশী কর্মী অভিবাসিত হয়েছেন মাত্র ছয়টি দেশে।


অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) ‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতিপ্রকৃতি ২০২৪’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।


গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে রামরু আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে শ্রম অভিবাসনের প্রবণতা, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাগুলো বিশদভাবে তুলে ধরা হয়।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯ লাখ ৬ হাজার ৩৫৫ জন পুরুষ ও নারী কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। ২০২৩ সালে অভিবাসী পুরুষ ও নারীর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩। বছরের শেষ নাগাদ সংখ্যাটি প্রায় ১০ লাখ হতে পারে।

 

এ বছর সৌদি আরবেই গেছেন ৬০ ভাগ কর্মী (৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৮ জন)। এছাড়া মালয়েশিয়ায় ১০ দশমিক ৩০ ভাগ (৯৩ হাজার ৩৫৬ জন), কাতারে ৭ দশমিক ৫৬ ভাগ (৬৮ হাজার ৫৩০ জন), সিঙ্গাপুরে ৫ দশমিক ৭৬ ভাগ (৫২ হাজার ১৭৫), আরব আমিরাতে ৫ দশমিক ২০ ভাগ (৪৭ হাজার ১৪৩ জন) ও জর্ডানে ১ দশমিক ৫৪ ভাগ (১৩ হাজার ৯২০ জন) কর্মী গেছেন।

 

পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতোই এ বছরও জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সর্বাধিকসংখ্যক নারী কর্মী সৌদি আরবে অভিবাসিত হয়েছেন (৩৫ হাজার ৫৩৮ জন)। এছাড়া জর্ডানে গেছেন ২ হাজার ১২৪ জন। কাতার, যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত, কুয়েত, হংকং, জাপানেও নারীরা অভিবাসিত হয়েছেন। তবে হংকং, জাপান ইত্যাদি দেশে যাওয়া নারী কর্মীর সংখ্যা নগণ্য।


গবেষণা প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ওমান, বাহরাইন, মালদ্বীপসহ বেশ কয়েকটি দেশে এ বছর কোনো অভিবাসন ঘটেনি। ইতালিতে জাল কাগজপত্রের কারণে ও সার্বিয়ার আবেদন প্রক্রিয়ার সার্ভার অকেজো হওয়ায় এ দেশগুলোয় শ্রম অভিবাসন কার্যক্রম থেমে আছে। অর্থনীতিবিষয়ক শ্বেতপত্রে বাংলাদেশের এক গন্তব্যকেন্দ্রিক বাজার ব্যবস্থাকে বিভিন্ন বাজার বন্ধের একটি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৯৭ শতাংশ কর্মীই গত পাঁচ বছরে গেছেন মাত্র ১০ দেশে