ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৯ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে আমদানি হবে ভুটানের সব এবং ভারতের ৬০ পণ্য
৯ নভেম্বর, ২০২৩ | ১০:৩৭ পিএম

সালেহ্ বিপ্লব: [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মধ্যে চালু হয়েছে এই রেলপথ।
[৩] গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে এই রেললাইনের উদ্বোধন করেন।
[৪] তবে এই রেলপথে শুরুতে যাত্রী পরিবহন হবে না। শুধুমাত্র দু’দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হবে।
[৪] আমদানি পণ্যের তালিকা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বলা হয়েছে, ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য (সুতা ও আলু ব্যতীত) এবং ভারত থেকে ৬০টি পণ্য আমদানি করা যাবে। বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সব ধরনের পণ্য এই রেলপথ দিয়ে রপ্তানি করা যাবে।
[৫] অনুমোদিত আমদানিযোগ্য পণ্য হলো: গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফল-মূল, গাছ-গাছড়া, বীজ, চাল, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলকে, কোয়ার্টজ, শুঁটকি মাছ, সাতকরা, আগরবাতি, জিরা, তরল রাবার, মেইজ, বড় পাথর, সয়াবিন বীজ, বাঁশ জাতীয় পণ্য, অর্জুন গাছের পাউডার, পান, সিএনজি অটোরিকশার পাটর্স, কাজুবাদাম, কাগজ, চিনি, জেনারেটর, ভাঙ্গা কাঁচ, চকোলেট, বেবি ওয়াইপার, কনফেকশনারি দ্রব্যাদি, বিটুমিন, পান, টমেটো, মেথি বীজ, শুকনা তেঁতুল, শুকনা কুল, ফ্লাই অ্যাশ, সকল প্রকার খৈল, ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, সরিষা, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট (আয়রন/স্টিল), গ্রানাইট স্ল্যাব, ডাল, গমের ভুষি, ছোলা ও বাঁশ।
[৬] তবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়েও ইতোপূর্বে এসব পণ্য আমদানির অনুমতি ছিলো।
[৭] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারির কারণে ব্যবসায়িদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ বেড়েছে। রেলপথের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।
[৮] আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হওয়ার ফলে দু’দেশের বাণিজ্যে আরও গতি আসবে। বিশেষ করে ভূটান ও ভারত থেকে পাথর ও গম আমদানি আমাদের জন্য সহজ হবে।
[৯] ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
[১০] ব্যবসায়ীরা জানান, এই রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আন্তঃসীমান্ত যোগাযোগের আরো এক নতুন যুগে পৌঁছাল বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পক।
