ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১০:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি
২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১০:৩৭ পিএম
![বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি](https://i.vatbondhu.com/images/wp-content/uploads/2024/01/rich_dollar_0.jpg)
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ১৭ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার রেখেছে, যা আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে ৫৮ কোটি ডলার কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ একটি লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছে। পুরোপুরি অর্জন করতে না পারলেও কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। তারা আশা করছেন, সংস্থাটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সামান্য পিছিয়ে থাকাকে ‘অর্জন হয়নি’ বিবেচনা করবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমএফের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রিজার্ভ রাখার জন্য গত সপ্তাহে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশসহ কয়েকটি ব্যাংক থেকে ৬০ কোটি ডলারের মতো কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত কেনা হয়েছে ১০৪ কোটি ডলার। এসবের পাশাপাশি ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি এবং এডিবির ৪০ কোটি ডলারসহ আরও কিছু ঋণের অর্থ যোগ হয়েছে। সব মিলিয়ে মাসের শেষ ১৫ দিনে রিজার্ভ আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে।
গত জুনেও নিট রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও সম্প্রতি আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। গত জুনে নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল অন্তত ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক রাখতে পেরেছিল ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফ গত বছরের জানুয়ারিতে যখন ঋণের প্রথম কিস্তি দেয়, তখন ডিসেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশের আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি থাকায় এবং জরুরি আমদানির জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির প্রয়োজন থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধে আইএমএফ তা সংশোধন করে।
উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ২০২১ সালের আগস্টে। তখন রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার। তবে করোনা-পরবর্তী চাহিদা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে ৭ বিলিয়ন ডলারের মতো। আর ২০২১ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলারের মতো। ডলারের দরও অনেক বেড়েছে। ওই সময়ে প্রতি ডলার ছিল ৮৪ থেকে ৮৬ টাকা। এখন আনুষ্ঠানিক দর ১১০ টাকা। যদিও ব্যাংকগুলো ১২০ থেকে ১২৪ টাকায় রেমিট্যান্স কিনছে।
![বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)