ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১১:৩৯:০৫ এএম

গত বছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বেড়েছে ৫০%

১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১০:৩৭ পিএম

গত বছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বেড়েছে ৫০%

গত বছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ) সম্প্রতি পূর্বাভাস দিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বাড়ানোর এ গতি আগামী ৫ বছর অব্যাহত থাকবে।

গত মাসে দুবাইয়ে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন কপ২৮ শীর্ষ সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বের হয়ে আসার বিষয়ে রাজি হয়েছে।

আইইএ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বেড়েছে। গত বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এ সক্ষমতা ৫১০ গিগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া সোলার পিভি (সূর্যের আলোকে সরাসরি বিদ্যুতে রূপান্তর করার প্রযুক্তি) তিন-চতুর্থাংশ বেড়েছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে চীন। ২০২৩ সালে যে পরিমাণ সোলার পিভি ব্যবহার করেছে চীন, তা ২০২২ সালে পুরো বিশ্বে ব্যবহার হতো। এছাড়া চীনে বায়ুবিদ্যুতের ব্যবহার বার্ষিক ৬৬ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর ইউরোপে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে।

আইইএর চিফ ফাতিহ বিরোল আশা প্রকাশ করেছেন, বর্তমান নীতিমালা ও বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার ২০৩০ সালের মধ্যে আড়াই গুণ বাড়বে। তার পরও এটা যথেষ্ট নয়। কপ২৮ সম্মেলনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ফাতিহ বিরোল বলেছেন, ‘‌আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাছাকাছি রয়েছি এবং এক্ষেত্রে যেসব ফাঁকফোকর রয়েছে তা দূর করার উপায় খুঁজছে সরকারগুলো।’

আইইএর চিফ ফাতিহ বিরোল আরো বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ‌সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অধিকাংশ উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং বিনিয়োগ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা তিন গুণ করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব আমরা।’

বৈশ্বিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফিকলিং এর আগে জানিয়েছেন, উন্নত দেশগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলেও পিছিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলো। সেক্ষেত্রে বড় জায়গা ধরে রেখেছে জীবাশ্ম জ্বালানি। বৈশ্বিক জ্বালানি তেল ও গ্যাস রফতানিকারক দেশগুলো নিজেদের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ফলে এশিয়া ও আফ্রিকার উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোয় জ্বালানি নীতিমালা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অথচ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বসবাস এসব দেশে।

গত বছর বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা বেড়েছে ৫০%