ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
অর্থনৈতিক হতাশা ও লিখতে না চাওয়া: মোঃ আলীমুজ্জামান
১ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৩:২৩ পিএম
![অর্থনৈতিক হতাশা ও লিখতে না চাওয়া: মোঃ আলীমুজ্জামান](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/01/20241201152319_original_webp.webp)
ছবি: ভ্যাটবন্ধু নিউজ
বেশ কিছু দিন লেখা বন্ধ করেছিলাম, অর্থনীতি নিয়ে হতাশা লেখা আমাদের কাজ না কিন্তু আসার আলো না দেখতে পাওয়া ও রাষ্ট্র পরিচালনা যখন অনপ্রিডিকটেবল অবস্থায় থাকে তখন সত্য বলা অন্যের ভীতির জায়গা থেকে নিজের ও দেশের অবস্থা অনুমান করা যায় না। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির ধারাবাহিক অবনতি বলে দেয় বিদেশী বিনিয়োগ আসবে না বা চলে যাবে।
সরকারের হটাৎ পরিবর্তন ও দেশে অস্থিতিশীলতা বজায় থাকায় উন্নয়ন সহযোগী ভারত চীন জাপান ও রাশিয়া কেউ কোন প্রকল্পে অর্থ ছাড় করে নাই প্রথম প্রান্তিকে। ক্রমবর্ধমান হারে আইন শৃংখলার অবনতির কারণে বিদেশি ঋণ প্রাপ্তির আশ্বাস শুন্যের কোঠায়। বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে প্রতিবন্ধতা সেই অস্থিতিশীলতা। তৈরি পোশাক শিল্পের অবস্থা করুন থেকে অধিক করুন হওয়ার পথে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত দুই দিন আগে ভিয়েতনামের সাথে চুক্তি করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য, যা মোট রপ্তানির ২২ শতাংশের অধিক। ভারতের মোট রপ্তানি ৮৬০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১৩-১৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের সাথে। যারা ভাবে ভারত বাংলাদেশের বাবসা হারালে রাস্তায় বসবে তাদের জন্য তথ্য দেওয়া। চীন তার লোনের ২২০০ কোটি ডলার ফেরত চেয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যে বিনিয়োগ আনার কথা ছিল, তারা বর্তমান অবস্থায় বিনিয়োগ না করার কথা জানিয়েছে।
জাপানের প্রতিনিধিগণ বলেছেন নতুন বিনিয়োগ করার পরিবেশ তো নাই, উল্টো তাদের ৪০ প্রতিষ্ঠান ভিন্ন দেশে নেওয়ার কথা ভাবছে। আইএমএফ বলে দিয়েছে আগামী তিন মাসে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে, বাংলাদেশ বিশাল অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। জিডিপি ২-৩ শতাংশে নেমে আসবে। পূর্বের সরকার ৬০ হাজার কোটি টাকা নতুন চাপানোর কারণে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির মূল কারণ হিসাবে এই সরকার বলেছিল। উল্টো তারা আরও ২২.৫০ হাজার কোটি টাকা নতুন চাপানোর পরিণাম কি হতে পারে সেটা উনারা বুঝে করছেন বলে ধরে নেওয়া যায়।
মানুষের কর্মসংস্থান হারানোর বিপরীতে দ্রব্য মুলার উর্ধ্বগতি জীবন ও জীবিকা কোথায় যাবে সহজে অনুমান করা যায়। সকল তথ্য বিভিন্ন প্রত্রিকা ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া থেকে সংগ্রহ করা। দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আমাদের সকলের সম্মিলিত ভোগের পরিমাণ, আর সেটাই হলো জিডিপি। আইএমএফ এর তথ্য মতে ২০২৫ সালে জিডিপি বৃদ্ধির হার হবে ৫.৩ শতাংশ, যদি দেশ স্থিতিশীলতার উপর।
- ট্যাগ সমূহঃ
- অর্থনৈতি
- হতাশা
- আলীমুজ্জামান
![অর্থনৈতিক হতাশা ও লিখতে না চাওয়া: মোঃ আলীমুজ্জামান](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)