ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
আকুর দায় বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধে দেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে
১২ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:১১ এএম
![আকুর দায় বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধে দেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/11/12/20241112101035_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (আকু) এর মাধ্যমে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানির দায় বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর ফলে, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার নিট রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৮৪৫ কোটি ডলারে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
গত বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশের নিট রিজার্ভ ছিল ২,০৮০ কোটি ডলার। সোমবার আকুর দায় পরিশোধ করার পর তা কমে গিয়ে ১,৮৪৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। একই সময় গ্রস রিজার্ভও ২,৫৭৩ কোটি ডলার থেকে কমে ২,৪২০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। প্রতি দুই মাস পর পর আকুর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত দেনা-দেনি পরিশোধ করার ফলে এমন পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এই সিস্টেমের আওতায় রয়েছে এবং এদের মধ্যে বাংলাদেশ আমদানি বেশি করে এবং রপ্তানি কম হওয়ার কারণে তাকে প্রায় প্রতিটি চক্রেই দায় শোধ করতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশাবাদ ব্যক্ত করছে যে, দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বাড়ছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থানকে সহায়তা করবে। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান ও ঋণের প্রবাহও বাড়ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২,০০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত বজায় থাকবে, কারণ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত আকুর মাধ্যমে আর কোনও বড় দায় পরিশোধ করতে হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আকুর দায় শোধ করতে হবে, তবে এর আগে নিয়মিত আমদানি দায় ও স্বল্পমেয়াদী ঋণের কিস্তি পরিশোধ চলবে। অর্থনীতিবিদদের মতে, রিজার্ভ পরিস্থিতি কিছুটা চাপের মধ্যে থাকলেও প্রবাসী আয় ও রপ্তানির মজবুত ধারা এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে।
আকুর আওতায় আমদানি-রপ্তানি দায় পরিশোধ ব্যবস্থাপনার ফলে দেশগুলোর মুদ্রা বিনিময়ের সময় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার উপর প্রভাব পড়ে। তবে রপ্তানি আয় ও অন্যান্য উৎস থেকে মুদ্রা প্রাপ্তির ফলে এই সংকট নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
![আকুর দায় বাবদ ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধে দেশের রিজার্ভ কমে ১৮ বিলিয়ন ডলারের ঘরে](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)