ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ সভা
২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ৪:১৫ পিএম
![আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ সভা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/08/30/20240830131647_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
প্রতি অর্থবছর কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা হয় তার একটি পরিসংখ্যান মূলত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে থাকে। কিন্তু এই পরিসংখ্যান নিয়ে অনেকের দ্বিমত রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুরু করে অর্থ বিভাগের এই তথ্যের সঙ্গে অনেক সময় গরমিল দেখা দেয়। যে কারণে আসলে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হচ্ছে তার স্পষ্ট চিত্র পেতে অনেক সময় বেগ পেতে হয়।
আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যখন দেখতে পায় রাজস্ব আদায়ের চিত্রের মধ্যে অনেক সংস্থার মধ্যে বৈপরীত্য থাকে তখন স্বাভাবিক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। এ ছাড়াও হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) অনেক সময় বিভ্রান্তির মুখে পড়ে। এসব তথ্যের অমিল খুঁজে বের করার জন্যই আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আজকের সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আইবাস, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে রাজস্ব আহরণ নিয়ে সমন্বয় করা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সভায় সভাপতিত্ব করবেন বলে জানা গেছে। এনবিআর অনেক সময় রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে আইবাস, যা অর্থ বিভাগ পরিচালনা করে। আবার সিজিএ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রাজস্ব তথ্যের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে কেন তা খুঁজে বের করা হবে। কারণ এই তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বেশ জটিলতা সৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃষ্টি হচ্ছে।
বিদায়ি অর্থবছরের বাজেটে সরকারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরে তা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে রাজস্ব আহরণ করা হয় ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। এই তথ্য খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। কিন্তু এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৭ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা কম।
আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয় জানিয়েছে, গত অর্থবছরে দেশে রাজস্ব আহরণ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার ২৮২ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আর সিজিএর তথ্যের সঙ্গে গরমিল দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ এনবিআর আর সিজিএর রাজস্ব আহরণের তথ্যে পার্থক্য হচ্ছে ৯৭ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিল তাও পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বিভিন্ন কর অঞ্চল, ভ্যাট কমিশনারেট ও কাস্টম হাউসগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়। আর সেই চিঠিতে এই হিসাবের গরমিল খুঁজে বের করার জন্য বলা হয়। পরবর্তী সময়ে অবশ্য ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটি আর সম্ভব হয়নি।
গত ১৪ আগস্ট এনবিআরের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে যোগদান করার পরই তিনি সাংবাদিকদের জানান, রাজস্ব আহরণের যে গরমিল তা শিগগির দূর করা হবে। সেই প্রেক্ষিতে আজ সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। আইবাসের তথ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এখন থেকে সমন্বিত তথ্য পরিবেশন করা হবে। রাজস্ব আহরণের একটাই ফিগার হবে। সেটি হচ্ছে আইবাস ফিগার।
- ট্যাগ সমূহঃ
- রাজস্ব বোর্ডে
![আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে গুরুত্বপূর্ণ সভা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)