ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৪৮:৩৯ এএম

আদানি ইস্যুতে তোলপাড়, তৃতীয় দিনের মতো মুলতবি ভারতের পার্লামেন্ট

২৯ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ এএম

আদানি ইস্যুতে তোলপাড়, তৃতীয় দিনের মতো মুলতবি ভারতের পার্লামেন্ট

ছবি: সংগ্রহ

শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই ভারতের সংসদে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। আদানি, মণিপুর থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল- এমন একাধিক ইস্যু নিয়ে হট্টগোলের জেরে তৃতীয় দিনের মতো ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষ মুলতবি করা হয়েছে।


(২৮ নভেম্বর) আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে আলোচনার দাবিতে উত্তপ্ত তর্ক-বিতর্ক ও হট্টগোল হয়।


গত ২০ নভেম্বর নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে গৌতম আদানি ও তার ভাগ্নে সাগর আদানিসহ সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, পরে সমনও জারি করা হয়।

 

অভিযোগে বলা হয়, ভারতের একটি মেগা সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাগিয়ে নিতে দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে মোট ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘুষ দেন গৌতম আদানি। প্রকল্পের ঠিকাদারির কাজ নিজের প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রিন এনার্জিকে পাইয়ে দেওয়ার জন্যই এ ঘুষ দিয়েছিলেন তিনি।


প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সাংসদ মানিকম ঠাকুর বলেন, আদানি ইস্যুতে আমরা তৃতীয় দিনের মতো প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাব চাইছি। আমরা চাই এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা হোক।

 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা চাইছে, কিন্তু তিনি এবং তার দলীয় এমপিরা বারবারই এড়িয়ে যাচ্ছেন। আজ আমরা যখন ফের এ ব্যাপারে আলোচনা করতে চাইলাম, তখন তারা (বিজেপি) হট্টগোল শুরু করলেন।

 

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির আদানির পক্ষ নেওয়া এবং ভারতে আদানির বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে অনেক বিরোধী দল। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি মন্তব্য করেন, গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তার করা উচিত। অথচ মোদি তাকে রক্ষা করছেন।

 

ভারতের গুজরাট রাজ্যে জন্ম-বেড়ে ওঠা গৌতম আদানির এবং তিনি ক্ষমতাসীন বিজেপির একনিষ্ঠ সমর্থক। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গুজরাট রাজ্য থেকে উঠে আসা। সেই হিসেবে মোদির সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ আদানির। অবশ্য অভিযোগ গঠন ও পরোয়ানা জারির পর তার প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদি কিংবা বিজেপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে একটি কথাও বলেননি।

 

এর আগে চলতি সপ্তাহের সোমবার অধিবেশন শুরু হতেই আদানি ইস্যুতে আলোচনার দাবি তোলেন বিরোধীরা। এ সময় হট্টগোল শুরু হলে তার জেরে প্রথমে এক ঘণ্টার জন্য অধিবেশন মুলতবি করে দেওয়া হয়। এরপর নানা ইস্যু নিয়ে বাকবিতণ্ডায় উত্তাপ সৃষ্টি হলে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি হয়ে যায় উচ্চকক্ষের অধিবেশন।

আদানি ইস্যুতে তোলপাড়, তৃতীয় দিনের মতো মুলতবি ভারতের পার্লামেন্ট