ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:২ এএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
আদানি থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেকে করেছে বাংলাদেশ
৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:২ এএম
![আদানি থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেকে করেছে বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/03/20241203105616_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশ শীতকালীন বিদ্যুৎ চাহিদা হ্রাস এবং কয়েক মিলিয়ন ডলারের বকেয়া নিয়ে মতবিরোধের কারণে ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়েছে। গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকর্তারা।
বর্তমানে আদানি পাওয়ারের কাছে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। যদিও আদানি পক্ষ দাবি করেছে, এই বকেয়া প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বকেয়ার কারণে আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিলেও বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, আপাতত অর্ধেক সরবরাহই যথেষ্ট।
বিপিডিবি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানান, শীতকালীন চাহিদা কম থাকায় আদানির দুই ইউনিটের বদলে একটি ইউনিট চালানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের চুক্তির আওতায় আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। তবে চুক্তি অনুযায়ী আদানি প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ১৪.৮৭ টাকা দামে বিক্রি করছে, যা অন্যান্য ভারতীয় সরবরাহকারীদের তুলনায় অনেক বেশি। ফলে বাংলাদেশ সরকারকে বিদ্যুতের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে বার্ষিক প্রায় ৩২০ বিলিয়ন টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, বিদ্যুতের মূল্য কমাতে চুক্তি পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন হতে পারে। আদানি গ্রুপ বর্তমানে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঘুষ কেলেঙ্কারি ও অন্যান্য সমস্যার মুখে রয়েছে। কেনিয়ায় দুটি প্রকল্প হারানো এবং শ্রীলঙ্কায় চুক্তি পুনর্বিবেচনার মধ্যে বাংলাদেশেও তাদের বিদ্যুৎচুক্তি চাপে পড়েছে।
আদানি পাওয়ারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে গেলেও বকেয়া অর্থ তাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগ। বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ চুক্তি পুনর্গঠন এবং বিদ্যুৎ খাতে টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
![আদানি থেকে বিদ্যুৎ কেনা অর্ধেকে করেছে বাংলাদেশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)