ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৩:৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আমদানি চালানের মাধ্যমে ২ ট্রিলিয়ন টাকা লুট করা হয়েছে: গভর্নর
২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৩:৯ পিএম
![আমদানি চালানের মাধ্যমে ২ ট্রিলিয়ন টাকা লুট করা হয়েছে: গভর্নর](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/10/28/20241028150921_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহীত
ব্যাংক দখলে নেওয়ার পর নতুন শেয়ারহোল্ডারদের ঋণ দেওয়া এবং আমদানি চালানে অতি মূল্যায়নের মাধ্যমে আনুমানিক ২ ট্রিলিয়ন টাকা বা ১ হাজার ৬৭০ কোটি মার্কিন ডলার লুট করা হয়েছে। যার পুরো টাকাই বিদেশে পাচার হয়েছে। বিশ্বের আর কোথাও এই খাতে এত লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি এবং এর পেছনে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল। গোয়েন্দারা ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মাথায় বন্দুক না ধরলে এটি করা সম্ভব হতো না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান মনসুর।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ধনকুবেররা গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় বাংলাদেশের ব্যাংকখাত থেকে ১৭০০ কোটি মার্কিন ডলার লুট করে পাচার করেছেন বলে দাবি করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর অভিযোগ করেন, সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স) নেতৃস্থানীয় ব্যাংকগুলো জোরপূর্বক দখলের কাজে সহায়তা করেছিল।
এস আলমের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং তার সহযোগীরা ডিজিএফআই-এর সহায়তায় ব্যাংকগুলো দখলে নেওয়ার পর এই খাত থেকে ন্যূনতম ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লুট করেছে। প্রতিদিনই তারা নিজেদেরকে ঋণ দিতো।
ফিনান্সিয়াল টাইমসে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মনসুর দবি করেন, হাসিনার শাসনামলে নেতৃস্থানীয় ব্যাংকের বোর্ড সদস্যদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। বোর্ডের সদস্যদের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হোটেলে বা অন্য কোনো স্থানে নিয়ে যেত এবং বন্দুকের মুখে তাদের ব্যাংকের সমস্ত শেয়ার এস আলমের কাছে বিক্রি করতে এবং তাদের পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করতে বলত। একের পর এক ব্যাংকে তারা এটা করেছে।
এদিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক সিইও মোহাম্মদ আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি তৎকালীন সরকার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চাপে পড়েছিলেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে একটি বোর্ড মিটিংয়ে যাওয়ার পথে তাকে তুলে নেওয়া হয় এবং পরে একজন সিনিয়র প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে দেখা করতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য পুরো এক দিন বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তিনি বলেন, তারা ভুয়া স্টেশনারি দিয়ে ব্যাংকের চিঠি তৈরি করে। আমাকে একটি পদত্যাগপত্রে সই করতে হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন মান্নান।
গভর্নর মনসুর বলেন, হাসিনার সরকারের আমলে দেউলিয়া হওয়া প্রায় ডজন খানেক ব্যাংকের অডিট শেষ করে লুট হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ। আমরা সাম্প্রতিক অডিটগুলোকে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয়ভাবে আইনের আদালতে প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করতে চাই।