ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:০৪:৩০ পিএম

আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের

১৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯:১৭ এএম

আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের

ছবি: সংগ্রহীত

সরকার চালের বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হয়েছিল আমদানি করা চাল বাজারে এলে মূল্য কমবে, তবে ডলার সংকট এবং এলসি সুবিধা সংকুচিত হওয়ায় আমদানিকারকদের চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

 

 

আমান মৌসুম শুরু হওয়ায় নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে এবং করপোরেট হাউজগুলো মজুদের জন্য আমনের চাল সংগ্রহে মনোযোগী। ব্যবসায়ীরা জানান, আমনের চাল উন্নত মানের হওয়ায় এটি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ উপযোগী। তাই করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এ চাল সংগ্রহে বেশি আগ্রহী।

 

 

চট্টগ্রামের চার আমদানিকারক ২৮ হাজার টন চাল আমদানির বরাদ্দ পেয়েছেন, কিন্তু এখনো এলসি করেননি। দেশের বাজারে ভারত, পাকিস্তান, এবং মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি হয়। ভারতে প্রতি টন চালের মূল্য ৪১০ ডলার, পাকিস্তানে ৪৬০ ডলার, আর মিয়ানমারে ৫২০ ডলার। ভারতে চালের দাম কম থাকায় সেখান থেকে বেশি আমদানি হচ্ছে, তবে শুধুমাত্র সিদ্ধ চাল আমদানি সম্ভব হচ্ছে।

 

 

ডলারের উচ্চ মূল্য (প্রায় ১২১ টাকা) এবং নতুন চাল আসার কারণে আমদানিকারকরা আরও কিছুদিন বাজার পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানান। বাজার পরিস্থিতি ঠিক থাকলে দেশীয় বাজারে চালের মূল্য প্রতি বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।

আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের পরেও চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের