ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৫ মার্চ, ২০২৫ | ১২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আমরা আশা করি বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্ঠা
৫ মার্চ, ২০২৫ | ১২:১৮ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “আমরা আশা করি, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হবে এবং বাংলাদেশিদের আবার ভিসা দেবে।” গতকাল মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, “সুসম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে উভয় দেশেরই স্বার্থ রয়েছে এবং বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।”
বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “এটি ভারত সরকারের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মন্তব্য করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশ চায় ভারতীয় হাইকমিশন তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারিত করুক এবং বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান শুরু করুক।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর সরকারের পতন ঘটে এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া সীমিত করে ফেলে। এদিকে, নয়াদিল্লির কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও ঢাকা এখনও কোনো সাড়া দেয়নি।
তিস্তা প্রকল্পে চীন কাজ করবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) রয়েছে এবং এর অধীনে যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশ আলোচনা করতে পারে। তবে তিস্তা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে চীন সফরের সময় ইয়ারলুং সাংপো নদীতে চীনের বৃহত্তম ড্যাম নির্মাণের ফলে বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর প্রভাব পড়বে কি না, সেই প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছিল। চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ড্যাম থেকে পানি প্রত্যাহার করা হবে না, ফলে বাংলাদেশের ওপর এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, সে বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র উন্নয়নের জন্য ২৯ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রভাবিত হবে না।”
গত ২০ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, “ইউএসএআইডি বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি সংস্থাকে ২৯ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।” তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দেখা গেছে যে অভিযোগটি সত্য নয়।
বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে চায় এবং ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে এগোচ্ছে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- আমরা
- আশা করি
- বাংলাদেশিদের
- ভিসা দেবে
- ভারত
- পররাষ্ট্র উপদেষ্ঠা
