ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ এএম
অনলাইন সংস্করণ
আয়কর রিটার্নের লক্ষ্য থেকে বহুদূরে এনবিআর
২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ এএম
![আয়কর রিটার্নের লক্ষ্য থেকে বহুদূরে এনবিআর](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/21/20241221092838_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দেশের ক্রমবর্ধমান বাজেট ঘাটতি ও ঋণের চাপ কমাতে সরকার রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো অনেক পিছিয়ে। আয়কর রিটার্ন দাখিলের হার আশানুরূপ না হওয়ায় লক্ষ্যপূরণে নতুন নতুন কৌশল নিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফল আসছে না।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছেন ২১ লাখ ২০ হাজার করদাতা। এর মধ্যে অনলাইনে জমা পড়েছে মাত্র ৭ লাখ ৮ হাজার ৬৯২টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ৩৬ লাখ ৬২ হাজার, যা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
সাধারণত ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর হলেও এ বছর সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তবুও রিটার্ন জমার গতি সন্তোষজনক নয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর করদাতার সংখ্যা বাড়াতে ৪৪টি সেবা নিতে রিটার্ন জমার সনদ বাধ্যতামূলক করেছে। এর আগের অর্থবছরে এই সংখ্যা ছিল ৩৮। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আরো তিনটি নতুন সেবা খাত যুক্ত করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের ফলে রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অনেক করদাতার প্রকৃত আয়ে সংকট তৈরি হওয়ায় সক্ষম করদাতার সংখ্যা আশানুরূপ বাড়েনি।
আয়কর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে করদাতাদের রিটার্ন জমায় অস্বস্তি দেখা দিয়েছে।
করদাতাদের অনুপস্থিতি অনেক সুবিধাভোগী করদাতা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন বা ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। বাজার পরিস্থিতি ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা কর সংগ্রহের ওপর প্রভাব ফেলছে। আইএমএফের লক্ষ্যপূরণে চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত আয়কর সংগ্রহের লক্ষ্য দিয়েছে। তবে বর্তমান রিটার্ন দাখিলের হার বিবেচনায় এটি অর্জন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
করদাতারা বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগ চান। তাদের মতে, কাগজে-কলমে নেওয়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ বাস্তবায়নে কার্যকর প্রভাব ফেলতে হবে।
কর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবণতা দেখা যায়। অনেক করদাতা সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছেন যে তারা অনলাইনে রিটার্ন দেবেন, নাকি সরাসরি আয়কর অফিসে জমা দেবেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দাখিলের হার কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও সরকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে করদাতাদের আস্থা ফেরানো এবং বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগ না নিলে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন কঠিন হতে পারে।
![আয়কর রিটার্নের লক্ষ্য থেকে বহুদূরে এনবিআর](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)