ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২১ মে, ২০২৪ | ১০:৩১ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে কমিটি গঠিত
২১ মে, ২০২৪ | ১০:৩১ এএম

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহকের আটকে থাকা টাকা ফেরত দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ কমিটি আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ১২৭ কোটি টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া এবং কীভাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার বিষয়টি শেষ করা যায় সেই বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।
গত রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ পরিশোধের অগ্রগতিবিষয়ক পর্যালোচনা সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রায় তিন বছর আগে ই-কমার্স খাতে প্রতারণা হওয়ার পর অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন, কেউ আন্ডারগ্রাউন্ডে আছেন, কেউ আইনের আওতায় এসেছেন, অনেকে জেল খেটেছেন। এমন অবস্থায় গ্রাহকদের ৫৩৫ কোটি টাকা পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে যায়। এখানে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এ টাকাগুলো গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত গ্রাহকদের ৪০৭ কোটি টাকা দেওয়া হলেও এখনো ১২৭ কোটি টাকা এখনো ফেরত দেওয়া যায়নি। যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। এরপর সুপারিশসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হবে। অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গঠন করা ই-কমার্স প্রতারণার বিষয়ে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিনিধি, ই-ক্যাবের প্রতিনিধি, ই-ভ্যালি ও কিউকমের কর্ণধার, পেমেন্ট গেটওয়ের প্রতিনিধি থাকবে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, কমিটি ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে এ ১২৭ কোটি টাকা কীভাবে গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া যায় এবং কীভাবে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, সেই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করবে।
এই প্রতিবেদন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। এরপর তিনি বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ই-কমার্সে প্রতারণার বিষয়টির অবসান করা প্রয়োজন।
বর্তমানে যেসব অভিযোগ আছে, সেগুলো নিষ্পত্তির পর সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন কোনো অভিযোগ আছে কি না, সেটি গ্রাহকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। এজন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হবে। সেই সময়ের পর আর অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না।
