ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১:৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
ইরানে হাই এলার্ট জারি
২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১:৪ পিএম

ছবি: সংগ্রহ
মো সোহাগ : ইরানের সব পরমাণু স্থাপনায় জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। স্থাপনা ঘিরে বসানো হয়েছে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইল যৌথভাবে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কা করছেন তেহরান। সম্ভাব্য হামলা বিষয়টি বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছ। ওই সব কর্মকর্তাদের মতে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে তেহরান তার পরমাণু স্থাপনা গুলোতে অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসিয়েছে।
জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এরপর থেকেই ইরানে হামলার আশঙ্কা বেড়েছে। যেকোনো মূল্যে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকাতে চায় ট্রাম প্রশাসন। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনা ইসরাইল বা যুক্তরাষ্ট্র কেউই পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র ইরান সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ সিনা আজদী দা আই ফর ইরান পটকাস্ট কে বলেন ইরান ৬ মাসের মধ্যে তার পরমাণু বোমা বানানোর সক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে পারবে।
উদাহরণ দিয়ে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলিয়ট স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের লেকচারার জানান, আপনি যদি একটি গাড়ি বানাতে জানেন আর তা যদি বারবার দুর্ঘটনার মুখোমুখি হন তার কোন ব্যাপার নয়। আপনি খুব সহজেই তা নতুন করে বানাতে পারবেন কিংবা মেরামত করতে পারবেন। কেউ যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চায় তবে তাদের এই বিষয়টি মনে রাখতে হবে। ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্রের বারবার এই অভিযোগের বিষয়ে তেহরান জানিয়েছেন তারা কোন ধরনের পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর চেষ্টা করছেনা। তবে ওয়াশিংটন তেল আবিব তা মানতে নারাজ। যুক্তরাষ্ট্রের মতে তেহরানের পাশে যথেষ্ট পরিমাণ ইউরেনিয়াম আছে। দেশটি চাইলেই পরমাণু অস্ত্র বানাতে পারবে। ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে অনেকটা ভঙ্গুর অবস্থায় আছে।
এই সুযোগ নিয়ে ইরানে হামলা চালাতে চাই ইসরাইল। এ বিষয়ে জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার আজোদি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে হামলা হলে তা যদি পুরোপুরি ধ্বংস না হয় তবে নিজেকে রক্ষার জন্য পরমাণু অস্ত্রের দিকে আরো বেশি করে মনোযোগ দিবে। অর্থাৎ ইরান তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই পরমাণু বোমা বানাবে। তবে ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে ইরানে হামলার সময় ইসরাইলকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ইসরাইলের যুদ্ধবিমানগুলোকে অন্তত ১৫ শ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে। পাশাপাশি মাজ আকাশে জ্বালানি নেয়া ও ইরান রাশিয়া তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।
