ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ইলেকট্রিক হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে এলসি শর্ত শিথিল
৪ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১২:৩৯ পিএম
ছবি: সংগ্রহ
বাংলাদেশ ব্যাংক গাড়ি আমদানির ঋণপত্রে (এলসি) শতভাগ আগাম জমা বা নগদ মার্জিনের শর্ত শিথিল করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, সম্পূর্ণ ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড মোটরকার আমদানিতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এবং অন্যান্য মোটরকারের (সেডান, এইউভি, এমপিভি ইত্যাদি) আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
করোনার সময়, বিলাসী পণ্যের আমদানি কমাতে গাড়ি আমদানির জন্য শতভাগ মার্জিনের শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে, বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব এবং জ্বালানিসাশ্রয়ী হিসেবে বিবেচিত ইলেকট্রিক ও হাইব্রিড গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে এই শিথিলতা আনা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘‘এ ধরনের গাড়ি দেশের পরিবেশ ও বায়ু গুণমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে, এবং এটি বিশ্বব্যাপী পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কিত নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’’
এছাড়া, গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক গাড়ির ঋণের সীমা বৃদ্ধি করেছে। এখন একটির জন্য সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা যাবে, যা আগে ছিল ৪০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে, গাড়ির দামের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে, এবং হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য এই সীমা আরও বাড়িয়ে ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।
এ পরিবর্তনগুলো বর্তমান গাড়ির বাজারমূল্য এবং ক্রেতাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে আনা হয়েছে। এতে গ্রাহকদের জন্য সহজ শর্তে গাড়ি কেনার সুযোগ বাড়বে, বিশেষ করে পরিবেশবান্ধব গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে।
বর্তমানে, গাড়ির ঋণে আইপিডিসি, আইডিএলসি ও লঙ্কাবাংলা ব্যাংক অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ-বাংলা এবং ইস্টার্ন ব্যাংকও গাড়ি ঋণের শীর্ষে রয়েছে। ব্যাংকগুলোতে বর্তমানে সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এটি কিছুটা বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নতুন নির্দেশনা এবং ঋণ সীমার পরিবর্তন গাড়ি ক্রয় প্রক্রিয়া আরও সহজ করবে এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারকে আরও উৎসাহিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।