ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ঋণের নথি চেয়েছে দুদক
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪ পিএম
![ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ঋণের নথি চেয়েছে দুদক](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/24/20241224114148_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এক বিলিয়ন ডলারের অর্থপাচারের অভিযোগ তদন্তে তৎপর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ অনিয়ম ও অর্থপাচারের অভিযোগে ইতোমধ্যে বেশ কিছু কার্যক্রম শুরু করেছে সংস্থাটি।
দুদক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কাছে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ সম্পর্কিত নথি চেয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংককে চিঠি দিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এ সংক্রান্ত সব নথি জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের ক্ষেত্রে মাত্র ১০৪ কোটি টাকার জামানতের বিপরীতে ৩,১৬৬ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়, যা পরে বেড়ে দাঁড়ায় ৩,৫২৮ কোটি টাকায়। একইভাবে এস আলম ভেজিটেবল লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী ট্রেডার্স মাত্র ৩১৪ কোটি টাকার জামানতের বিপরীতে ৪,৮৯০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে।
এস আলম পাওয়ার জেনারেশন, এস আলম স্টিলস লিমিটেড, ইউনিটেক্স এলপি গ্যাসসহ গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও একই ধরনের অনিয়মের নজির পাওয়া গেছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, এস আলম গ্রুপ ডিজিএফআই-এর সহায়তায় ইসলামী ব্যাংকসহ একাধিক ব্যাংকের শেয়ার কিনে নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
২০২৩ সালের আগস্টে এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পর দুদক তদন্ত শুরু করলেও আপিল বিভাগের নির্দেশে তা স্থগিত হয়। নভেম্বর মাসে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্ত পুনরায় শুরু হয়।
দুদকের তিন সদস্যের তদন্ত দল ইতোমধ্যে ইসলামী ব্যাংকের ১৪টি শাখায় বিতরণকৃত ৪৪টি কোম্পানির ঋণে জালিয়াতি খুঁজে পেয়েছে। ধাপে ধাপে বাকি কোম্পানিগুলোর তথ্য চাওয়া হবে।
১৯ ডিসেম্বর আদালতের আদেশে সাইফুল আলম ও তার পরিবারের ১২৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ২২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা জমা ছিল।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "এস আলম গ্রুপ ও তাদের সহায়তাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অর্থ পাচারকারীরা রাষ্ট্রের জবাবদিহিতার অভাবে এ ধরনের অপকর্ম চালিয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "যেসব কর্মকর্তা এস আলম গ্রুপকে সহায়তা করেছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে।"
এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত প্রমাণিত হলে এর সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের অর্থপাচার জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে, যা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
![ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের ঋণের নথি চেয়েছে দুদক](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)