ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:১৮:৩৭ পিএম

এবার ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৫০ এএম

এবার ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার

ছবি: সংগ্রহ

চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, মুরগি-মাংসের পর এবার ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার সব ধরণের মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। মাছ বিক্রেতরা জানান নদী-নালার পানি কমে যাওয়ায় দেশীয় মাছের সরবরাহও কমে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মাছের যোগান না হওয়ায় দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে মাছের দামের এমন চিত্র দেখা যায়।

 

শুক্রবার বাজারে চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, শোইল মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা, কাতল প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, টেংড়া প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মলা প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এ ছাড়া পাঙাস প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, বড় পুঁটি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, টাকি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা এবং তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফয়সাল আহমেদ বলেন, বাজারে সবজির দাম তুলনামূলক কম। মুরগি, মাংস, ডিমের দাম বিভিন্ন সময় ওঠানামা করে। কিন্তু সব ধরনের মাছ দীর্ঘদিন ধরেই অতিরিক্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ক্রেতারা আর ভালো মাছ কিনে খেতে পারে না। আজকেও বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি, অথচ বাজার মনিটরিংয়ের কোনো উদ্যোগ দেখি না। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো দাম চেয়ে বসে থাকছে।

 

ক্রেতারা জানান, বাজারে পাঙাস, তেলাপিয়া, কই মাছেই ভরসা সাধারণ ক্রেতাদের। অন্য সব ধরনের মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে মানুষ এই মাছগুলো কিনে খেতো। বর্তমানে এগুলোর দামও বাড়তি। চাষের কই কিনলাম প্রতি কেজি ৩০০ টাকা দরে, অথচ এটাই ২৫০ টাকা করে আগে কিনতাম। ভালো কোনো মাছ তো কিনে খাওয়ার অবস্থা সাধারণ ক্রেতাদের নেই। সবসময়ই মাছের অতিরিক্ত বেশি দাম থাকে। অন্য বাজার ওঠানামা করলেও মাছের বাজার একদম মনে হয় ফিক্সড হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

এবার ঊর্ধ্বমুখী মাছের বাজার