ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৪০:৩৩ এএম

এবার মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এনবিআরের

৭ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৩০ এএম

এবার মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এনবিআরের

ছবি: সংগ্রহ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) এবং কমপ্রেশর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের করহার দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এই খাতগুলো তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দেয়, যা ২০৩২ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা। এছাড়া আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও উপকরণের ওপর ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) পরিশোধ করে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই করহার দ্বিগুণ করা হতে পারে এবং তা ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর হতে পারে। আমদানি পর্যায়ের এআইটি বাড়ানো হলে তা আদেশ জারির দিন থেকেই কার্যকর হবে।

 

এনবিআর তাদের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভ্যাট ও করজাল সম্প্রসারণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞ ও খাতসংশ্লিষ্টদের মতে, কর বাড়ানোর ফলে সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোতে বাড়তি চাপ তৈরি হবে, যা শেষপর্যন্ত ভোক্তাদের ওপর পড়বে। এনবিআরের সাবেক সদস্য সৈয়দ মো. আমিনুল করিম বলেন, হঠাৎ করে কর সুবিধা বাতিল করলে পণ্যের দাম বাড়বে এবং বিনিয়োগবান্ধব নীতি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা যাবে।

 

অন্যদিকে, এ খাতের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা কর বাড়ানোর বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ফেয়ার ইলেকট্রনিকসের মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, ক্রমাগত ভ্যাট ও কর বৃদ্ধির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে, যা বাজার সংকুচিত করছে। নতুন করে কর বাড়ালে পণ্যের দাম আরও বাড়বে এবং ক্রেতারা এসব পণ্য কেনার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী হবেন।

 

২০১৯ সালের এক আদেশ অনুযায়ী, এই খাতের করহার ছিল ৫ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ১০ শতাংশ করা হয়। তবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এই হার কার্যকর থাকার কথা থাকলেও এনবিআর এখন তা বাড়ানোর কথা ভাবছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের শর্তের কারণে এনবিআর এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

রেফ্রিজারেটর ও এসির মতো পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন এবং মোটরসাইকেল খাতে নতুন বিনিয়োগকারীরা বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি কর সুবিধার আশায় তারা বিনিয়োগ করেছেন। হঠাৎ করে করহার বাড়ানো হলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনার স্নেহাশিস বড়ুয়া বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্য এভাবে নীতি পরিবর্তন হতাশাজনক।

 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কর বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্দর, কাস্টমস এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলোতে উন্নয়ন করা হলে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কা কিছুটা কমতে পারে। তবে পরিকল্পনাহীনভাবে কর বাড়ানোর ফলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এবার মোটরবাইক, ফ্রিজ, এসি উৎপাদনকারীদের কর দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা এনবিআরের