ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:৫৯:৪৯ পিএম

এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত

৯ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৩ এএম

এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সরকারী এমপিদের নামে আনা ৪২টি পাজেরো গাড়ি নিলামের পরিবর্তে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে গাড়িগুলোর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এনবিআর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে।

 

 

চট্টগ্রাম বন্দরের কারশেডে গত ৫ মাস ধরে আটকা পড়া এই গাড়িগুলো এমপি কোটায় শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানী করা হয়েছিল। তবে, গাড়িগুলোর আমদানিকারকরা সংসদ সদস্যদের পালিয়ে যাওয়ার কারণে শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি জটিল হয়ে ওঠে। এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গাড়িগুলোর শুল্ক পরিশোধ করা না হলে সেগুলি নিলামে তোলা হবে।

 

 

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, যদি আমদানিকারকরা শুল্ক পরিশোধ করেন, তাহলে গাড়িগুলোর ছাড় দেওয়া হবে। অন্যথায়, গাড়িগুলোর নিলাম আয়োজন করা হবে।

 

 

এনবিআরের এই সিদ্ধান্তের কারণে নতুন আইনি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিডাররা। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ বিডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, "যদি এনবিআরের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মত হলো, এমপিদের উপস্থিতি না থাকায় গাড়িগুলোর নিলাম হওয়া উচিত।"

 

 

জাপান থেকে আমদানি করা প্রতিটি পাজেরো গাড়ির মূল্য ১ থেকে ১.৫ কোটি টাকা হলেও শুল্কসহ এর বাজারমূল্য প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে, গাড়ি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, এত চড়া দামে গাড়িগুলো বিক্রি হওয়া সম্ভব নয়।

 

 

বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "১০ কোটি টাকা মূল্যবৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও, কোনো ব্যবসায়ী গাড়ির ছাড় করাবে বলে মনে হয় না। তাই, দ্রুত নিলাম আয়োজন করা উচিত।"

 

 

এনবিআরের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভবিষ্যতে গাড়ির বাজার ও রাজস্ব সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে।

এমপি কোটায় আনা বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এনবিআরের নতুন সিদ্ধান্ত