ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৪:১৮:৩৮ পিএম

এলএনজি আমদানির জন্য ৩৫ কোটি ডলার ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের

২১ জানুয়ারি, ২০২৫ | ১১:১৭ এএম

এলএনজি আমদানির জন্য ৩৫ কোটি ডলার ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের

ছবি: সংগ্রহ

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ৩৫ কোটি ডলারের ঋণ গ্যারান্টি প্রদান করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই ঋণ গ্যারান্টির শর্ত অনেক সহজ হবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি আমদানির প্রয়োজন পূরণে সহায়ক সুবিধা পাবে।

 

 

বিশ্বব্যাংকের গ্রুপের একটি সংস্থা, মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (মিগা) এই প্রস্তাব দিয়েছে। মিগা পেট্রোবাংলার পক্ষে দেশি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর জারি করা এলসি বা ঋণপত্রে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি দেবে, যার ফলে এলএনজি সরবরাহ নিরাপদ এবং কার্যকর হবে।

 

 

এই ঋণ গ্যারান্টি বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া বিদ্যমান অর্থায়নগুলোর চেয়ে সহজ শর্তে হবে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইটিএফসি) থেকে ঋণ নেওয়া হলে সুদহার তুলনামূলকভাবে বেশি, তবে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত ঋণ গ্যারান্টিতে সুদ হার এক শতাংশ কম হবে। ঋণ গ্যারান্টির পরিমাণ ৩৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে আরও বাড়ানো সম্ভব, তবে এর ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের কাভারেজ কমে যেতে পারে।

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এ প্রসঙ্গে বলেন, "মিগার প্রস্তাবটি আমরা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছি, কারণ এতে সুদহার কম এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদও দীর্ঘ। এতে সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধ সহজ হবে।" তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এই বিষয়ে কাজ করছে এবং গ্যারান্টির পরিমাণ ও চুক্তির কার্যকর হওয়ার সময় নির্ধারণ করা হবে।

 

 

বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত গ্যারান্টি ব্যবস্থা, "রিভলভিং লেটার অব ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি", এক ধরনের ব্যাংক গ্যারান্টি হিসেবে কাজ করবে, যা পণ্য বা পরিষেবার জন্য একাধিক পেমেন্ট করতে সহায়তা করবে। একবার তহবিল ব্যবহার হয়ে গেলে, গ্যারান্টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হবে। এই ব্যবস্থা বাংলাদেশকে এলএনজি আমদানির অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় নতুন একটি দ্বার উন্মোচন করবে।

 

 

বর্তমানে, বাংলাদেশ আইটিএফসি থেকে এলএনজি এবং জ্বালানি তেল আমদানির জন্য ঋণ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু বিশ্বব্যাংকের গ্যারান্টির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ, নিরাপদ এবং কার্যকর হবে। বিশ্বব্যাংকের গ্যারান্টি ব্যবস্থায় সুদহার এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ আগের চেয়ে কম এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের সুযোগ মিলবে।

 

 

এছাড়া, মিগার গ্যারান্টি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে কার্যকর হয়েছে, বিশেষ করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আমদানি ও অন্যান্য কার্যক্রমে। এই প্রস্তাব এলএনজি আমদানির পাশাপাশি ভবিষ্যতে জ্বালানি তেল আমদানিতেও সম্প্রসারিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

 

বিশ্বব্যাংকের এই গ্যারান্টি বাংলাদেশের এলএনজি আমদানির খরচ কমাতে এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, যা দেশের জ্বালানি সংকট নিরসনে সহায়ক হবে।

এলএনজি আমদানির জন্য ৩৫ কোটি ডলার ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের