ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১২:১৪:৫৩ পিএম

কদম আলি ও বিশ্ব পরিস্থিতি: মোঃ আলীমুজ্জামান

২৬ মে, ২০২৪ | ৪:৪০ পিএম

কদম আলি ও বিশ্ব পরিস্থিতি: মোঃ আলীমুজ্জামান

আজও কথা রাখতে পারছি না, কারণ এত বেশি একে অপরের সমালোচনা কর, যেন সে বিষয়ে বিশাল এক্সপার্ট। ক্ষতির কথা চিন্তা ছাড়া সোসাল মিডিয়ার এমন সব বিষয় শেয়ার কর যেন দেশ রসাতলে চলে গেছে। এখনই সবাইকে না জানালে বিশাল পাপ হবে। বলল কদম আলী।

বললাম, বুঝতে পারছি, আসলে তুমি যেটা আলাপ করতে চাও সেটা আমি চাই না। বল আবার কি মাথায় ঢুকলো? মানুষকে  নীচু কোরো না। বহু ভালো মানুষ আছে বলে সব ঠিক মত চলছে।

ও বলল, ওকে ডান, দেশের অর্থনীতির সাথে বিশ্ব অর্থনীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে কথা শুরু করি?

বললাম, করো, কিন্তু ভ্যাট, বাজেট এগুলোর কি হবে? পজেটিভ ভাবে আলোচনা হবে।

ও বলল, সব হবে, বাজেট ঘোষণার সময় হলে, দেশের সবাই অর্থনীতি বিদ হয়ে যায়। তাও সেটা আলোচনা হয় নেগেটিভ ভাবে, আর পজেটিভ বলা শিখাতে এস না। শুধু নিষেধ করেছ বলে চুপ করে গেলাম, নাম বললে চাকরি থাকবে না।

পাশের দেশ মার্চ মাসে বাজেট ঘোষণা করে, কত জন মানুষ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আলোচনা করে? আর রিজার্ভ শেষ, ডলার রেট, ব্যাংক সুদ এগুলো এনালাইসিস করতে করতে, এমন পরিবেশ তৈরি কর যেন দেশ আজই শেষ হয়ে গেল।

বললাম, তুমি কি বলতে চাও, এগুলো কি ফ্যাক্ট না, কোন দেশের অর্থনীতির জন্য? প্রতিটা বিষয় তো সাধারণ ভোক্তার উপর প্রভাব ফেলবে?

ও বলল, একবারও বলি নাই ফ্যাক্ট না, চিন্তা করতে হবে তোমার দেশ বিশ্বের বাহিরে না। কিছু দেশ বাদে সকল দেশের রিজার্ভ পর্বের অবস্থানে নাই। তারাও তো ওয়ে আউট করছে কিভাবে সেটা ঠিক করা যায়। পোশাক রপ্তানি কমার মূল কারণ হল সেসব দেশের মানুষও বিলাসিতা কমিয়ে দেশের রিজার্ভ ঠিক রাখতে চাচ্ছে ও রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজছে।

এই ধর পাশের দেশ, রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল এনে, সেটা পরিশোধন করে ইউরোপ আমেরিকায় রপ্তানি করছে। সংশনে থাকা ইরানের সাথে চুটিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। অন্য দেশের বিভিন্ন রপ্তানি করা পণ্যের উপর ডিউটি বাড়িয়ে দিয়েছে।

তোমরা এখনও পরে আছো রপ্তানীর ইনসেনটিভ ও কিভাবে সরকারের সাহায্য পাওয়া যায়। করোনার সময় সরকার যে সুবিধা বাবসায়ীদের দিয়েছে তার কোনটা কি ভোক্তা ও বর্তমান সময়ে কোন কাজে আসছে।

বললাম, ভালোই তো বলছো তবে মনে রাখতে হবে পাশের দেশের মতো অবকাঠামোগত সুবিধা বা সেটা দ্রুত তৈরি করার সক্ষমতা এ দেশের নাই।

ও বলল, সেটা নাই কিন্তু সিন্ডিকেট করে পন্যের দাম বাড়ানোর অবকাঠামো ভালো আছে। না হলে নিত্য পণ্য আমদানির কথা শুনলে দাম কমে যায়, কিভাবে সম্ভব? এর অর্থ দেশে প্রচুর মজুত থাকার পরও সেটা বাজারে সাপ্লাই দেওয়া হয় না।

 

দাম বাড়িয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে, এটা কন্ট্রোল করতে পারলে দেখবা বাজার কন্ট্রোল থাকবে। বাজার ব্যবস্থাপনা হল সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট। যা সকল অবস্থায় সরকারের স্ট্রং কমিটি দ্বারা মনিটরিং করতে হবে। নীতি বাচক কথা বলে দেশ ও আর্থিক সেক্টরকে আস্থার সংকটে ফেলছ। মানুষ ব্যাংক থেকে ঘরে ক্যাশ টাকা রাখা কম ঝুঁকি মনে করছে। এটা খুব খারাপ বিষয় হবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহের জন্য।

বললাম, আসলে ঠিক এ ধরনের পরিস্থিতিতে এক ধরনের মানুষ সুবিধা নিতে চাইবে। সরকারের প্রতি পক্ষ থাকবে।সরকারের উচিত মানুষকে কিভাবে আস্থার জায়গায় আনা যায়। সেরকম কোন উদ্যোগ তো দেখছি না। বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে তেমন স্ট্রং পলিসি বা কমিটি তো হচ্ছে না। শুধু দোষ চাপানোর খেলা চলছে।

ও বলল, কাজের চেয়ে অধিক কথা বলা, মূল সমস্যা। আগে কথা ও কাজে মিল ছিল অসাধু ব্যবসায়ীগন ভয় পেতেন। বিরোধী দলের আন্দোলন ঈদের পর, সেটাও যেমন আসে না। আর কঠিন বাজার মনিটরিং করা হবে, বলা মানুষগুলো বাজারে যায় না। ফলাফল বলার অপেক্ষা রাখে না।

কদম আলি ও বিশ্ব পরিস্থিতি: মোঃ আলীমুজ্জামান