ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৮ মে, ২০২৪ | ৯:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ
করের সন্ধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
৮ মে, ২০২৪ | ৯:৩৮ এএম
![করের সন্ধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/05/08/20240508093844_original_webp.webp)
দেশের রাজস্ব হচ্ছে উন্নয়নের অক্সিজেন। রাজস্ব প্রতি বছর আদায় হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেক বছরে বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, তা কখনো অর্জিত হয় না বললেই চলে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রচেষ্টার শেষ নেই। রাজস্ব আহরণের জন্য এখনও দেশের কোথাও কোথাও কর অফিস নেই। নেই পর্যাপ্ত জনবল। ঢাকায় রাজস্ব আহরণের জন্য অনেক কর অঞ্চল রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রামে কর অঞ্চল থাকলেও করদাতা অনুসারে তা একেবারেই অপ্রতুল।
প্রতি বছর উল্লেখ করা হয়, করের জাল বাড়ানো হবে। এটি যেমন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তেমনি উন্নয়ন সহযোগীরাও প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিয়ে আসছে। আইএমএফ ঋণ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত জুড়ে দেয়, এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-রাজস্ব বাড়ানো। অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের রাজস্ব আদায়ের অনুপাত খুবই কম। যে কারণে এই পরামর্শ শুধু আইএমএফ নয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরাও বলে আসছেন।
এ ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য জানান, রাজস্ব বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে জনবলের অপ্রতুলতা ও অফিসের অভাবে রাজস্ব আহরণে ব্যাহত হয়। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও, অনেক সময় তা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে প্রতিটি জেলা শহরে আয়কর দেওয়ার মতো সামর্থ্য আয়কর দাতার সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু অফিস আর জনবল না থাকার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আশার কথা আগামীতে অনেক জেলায় কর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ফলে আয়কর দাতার সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আয়ের উৎসের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও গণপূর্ত অধিদফতর বেশ কয়েকটি বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে কর ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে গত ৫ মে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদউল্লাহর সভাপতিত্বে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, তিনটি বিভাগীয় শহর ও তিনটি জেলা সদরের কর ভবনের মধ্যে রয়েছে-সিলেট জেলার সদর উপজেলা, বরিশাল সদর উপজেলা, রংপুর বিভাগের দিনাজপুর সদর উপজেলা, চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী উপজেলা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া উপজেলা। এ ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা। এই প্রকল্পগুলো চলতি অর্থবছরের উচ্চ প্রকল্প হিসেবে সংশোধিত এডিপিতে নতুন প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এসব প্রকল্প এখনও অনুমোদন পায়নি। এমনকি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এসব প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জে কর ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি ৯৫ লাখ ৬৬ হাজার কোটি।
কী উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প করা হচ্ছে-এই প্রশ্নে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা জানান, মূলত এসব এলাকা থেকে রাজস্ব সংগ্রহের উদ্দেশ্যেই ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও কর বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের দক্ষতা বাড়ানো ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা। মোট কথা এই ভবন নির্মাণের মধ্যে দিয়ে সরকারি রাজস্ব আহরণে সেফগার্ড নিশ্চিত করা হবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট রাজস্ব আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ বগুড়া কর অঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও সেখানে দাফতরিক স্থান সংকুলান সমস্যা প্রবল। একই সঙ্গে বগুড়ার মতো অনেক কর অঞ্চল থেকে রাজস্ব পাওয়া সত্ত্বে বিভিন্ন সমস্যা রয়ে গেছে। তবে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান মোছা. সুলতানা পারভীন প্রস্তাবিত প্রকল্পের কোনো কোনো এলাকাকে জলাবদ্ধতাপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে এসব অঞ্চলে কর ভবন নিমাণের ব্যাপার বদ্ধপরিকর। কারণ তারা রাজস্ব উৎসের সন্ধানে রয়েছে বলে জানা গেছে।
- ট্যাগ সমূহঃ
- রাজস্ব বোর্ড
- কর
![করের সন্ধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)