ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৮:৫০:৩৫ পিএম

ক্ষমতার লড়াইয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন ইউন সুক ইয়োল

১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:১০ এএম

ক্ষমতার লড়াইয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন ইউন সুক ইয়োল

ছবি: সংগ্রহ

শেষ পর্যন্ত ক্ষমতার জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল। গত সপ্তাহে আকস্মিক সামরিক আইন জারির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তিনি। কয়েক মাস আগে থেকেই সামরিক আইন জারির পরিকল্পনা করছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়োল।

 

এর প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারি করেন তিনি। এর ফলে পুরো দেশে তীব্র প্রতিবাদ দেখা দেয়। এমপিরা পার্লামেন্টের ভিতরে বিশেষ অধিবেশনে মিলিত হন। তারা প্রেসিডেন্ট ইউনের সামরিক আইন প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেন। এর ৬ ঘণ্টা পর সিদ্ধান্ত বাতিল করেন প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন সামরিক আইন জারির দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেন। তাতেও শান্ত হয়নি পরিস্থিতি। ইউনের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। তার সমালোচনায় মুখর দেশের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধীদলীয় নেতারাও। ইউনকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা।

 

কিন্তু গত শনিবার এই ভোটের আগে পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট করে প্রেসিডেন্টের দল পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্যরা। ফলে অভিশংসন প্রস্তাব ব্যর্থ হয়। এতে রক্ষা পান প্রেসিডেন্ট ইউন। তবে তার পিছু ছাড়ছে না বিরোধীরা। তারা বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। এই প্রস্তাবের ওপর শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় ভোট হওয়ার কথা পার্লামেন্টে। তবে নিজেকে রক্ষা করতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইউন।

 

তিনি দাবি করেছেন, বিরোধীরা বরাবরের মতোই সামরিক আইন জারির ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছে। তিনি আরও বলেন, অভিশংসন হোক বা তদন্ত হোক- এতে তিনি সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। ওদিকে প্রথম দফা ব্যর্থ অভিশংসন উদ্যোগের পর পদত্যাগ করেছেন পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) সংসদ দলীয় নেতা চো কিউং-হো।

 

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার আকস্মিক টেলিভিশন ভাষণে ইউন বলেন, গণতন্ত্র রক্ষা এবং বিরোধদলের সংসদীয় একনায়তন্ত্র বাতিলের জন্যই তিনি সামরিক আইন জারি করেন। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট আর তার মিত্রদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। দেশত্যাগেও দেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার বিরোধী দল অভিশংসনের মাধ্যমে পুলিশ প্রধান চো জি-হো এবং আইনমন্ত্রী পার্ক সাং-জে’কে ক্ষমতাচ্যুত করে। ওদিকে ইউনের ভাষণ দেওয়ার কয়েক মিনিট আগে তার দলের নেতা হান ডং-হুন টেলিভিশনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল যে- ইউন পদত্যাগ করবেন না। ফলে শনিবার পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাবে ভোট দিতে দলীয় এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ক্ষমতার লড়াইয়ে শেষ দেখে ছাড়বেন ইউন সুক ইয়োল