ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
খেলাপি ঋণে কঠোর নীতির পরমর্শ দিল আইএমএফ
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১২:৪০ পিএম
![খেলাপি ঋণে কঠোর নীতির পরমর্শ দিল আইএমএফ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/14/20241214115425_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালা আরও কঠোর করার সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি জানায়, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা নেওয়ার পর তা সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত ঋণ হিসেবে দেখানো যাবে না। আইএমএফের মতে, এটি আন্তর্জাতিক চর্চার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এবং এই বিষয়টি সংশোধন করতে হবে।
গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের মধ্যবর্তী পর্যালোচনা বৈঠকে ঋণ শ্রেণীকরণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে চতুর্থ কিস্তির অর্থ দেওয়ার আগেই তৃতীয় কিস্তির পর্যালোচনা করতে আইএমএফের ১০ সদস্যের একটি দল ঢাকায় এসেছে। বৈঠক চলাকালে, খেলাপি ঋণ বিষয়ে আইএমএফের সংশোধন প্রস্তাবের প্রতি সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নীতিমালায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে রাজি হয়েছে।
আইএমএফের মতে, ব্যাসেল-৩ নীতিমালা অনুযায়ী, খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করার পর ওই ঋণ তিন মাসের আগে নিয়মিত হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। তবে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বর্তমানে এই নিয়ম না মেনে পুনঃতফসিলকৃত ঋণকে সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত হিসেবে দেখিয়ে আসছে। আইএমএফের প্রস্তাব অনুযায়ী, ঋণ গ্রহীতা যদি তিন মাসে ঋণ পরিশোধে সক্ষম হয়, তবে তবেই ঋণটি নিয়মিত হিসেবে গণ্য হতে পারে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত নতুন ঋণ শ্রেণীকরণ নীতিমালাকে আইএমএফ ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছে। নীতিমালার আওতায়, কোনো ঋণ নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে পরিশোধ না হলে তা মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে গণ্য হবে এবং ৯০ দিন পার হলে ঋণটি খেলাপি হয়ে যাবে।
নতুন এই নীতিমালা কার্যকর হতে যাচ্ছে এপ্রিল মাস থেকে। তবে, এতে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায়।
আইএমএফের পরামর্শে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে, সেটি হলো ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর কথা। আইএমএফের মতে, বর্তমান মুদ্রার বিনিময় হার সেভাবে ওঠানামা করছে না, যার ফলে ডলার ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ছে এবং বাজারে ডলারের সরবরাহ কমছে। আইএমএফ এ বিষয়ে "ক্রলিং পেগ" ব্যবস্থার কথা বলেছে, যা মুদ্রানীতি কৌশলে একটি পর্যালোচনার বিষয় হতে পারে।
বাংলাদেশ বর্তমানে আইএমএফ থেকে ঋণের মোট ৪ কিস্তি পাবে। ইতিমধ্যে তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ, যার মধ্যে ২০২৩ সালের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার এবং তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার অন্তর্ভুক্ত। আগামী ডিসেম্বরে চতুর্থ কিস্তির অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
![খেলাপি ঋণে কঠোর নীতির পরমর্শ দিল আইএমএফ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)