ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:২৩:৪১ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪৭ এএম

অনলাইন সংস্করণ

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে

৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৪৭ এএম

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, খেলাপি ঋণের তথ্য এখন প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা চলছে, যা আগে লুকানো হতো। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪ লাখ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে পূর্ণ তথ্য প্রকাশ হলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটিরও বেশি হতে পারে।

 

 

মুখপাত্র এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "ব্যাংকগুলোতে অডিট হচ্ছে এবং প্রকৃত খেলাপি ঋণের তথ্য পাওয়া গেলে, এরপর তা কমানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"

 

 

এছাড়া, তিনি জানিয়েছেন যে, গত পাঁচ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করেছে, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন করেছে এবং ডলার বাজারের স্থিতিশীলতা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, তিনি বলেন, "এখনও পুরোপুরি আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তবে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে, যা কিছুটা ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।"

 


হুসনে আরা শিখা আরও বলেন, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ দেশের ব্যাংক খাতের মাধ্যমে পাচার হওয়া টাকা কোথায় গেছে, সেই তথ্য স্পষ্টভাবে জানা যাবে। তবে, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়া একটি সময়সাপেক্ষ কাজ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এই বিষয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, "নিরাপত্তার স্বার্থে, এসব বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করা হয় না।"

 


মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে, মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই একাধিকবার নীতি সুদ বাড়িয়েছে এবং আশা করছেন জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, "যদি মূল্যস্ফীতি কমে না আসে, তাহলে আবারও সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।"

 

 

তিনি আরো জানান, ব্যবসায়ীরা এ নিয়ে খুব খুশি নন, কারণ অতিরিক্ত সুদ প্রদান করতে গিয়ে তাদের জন্য ঋণ নেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে, এবং বিনিয়োগেও ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। তবে, তিনি বলেন, বিনিয়োগ কমার জন্য শুধু সুদের হার দায়ী নয়, বরং অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য অনেক বিষয়ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত।

 

 

মুখপাত্র জানান, শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক এককভাবে মূল্যস্ফীতি কমাতে সক্ষম নয়, এর জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সঠিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছি, তা কিছুটা ফলপ্রসূ হতে পারে, তবে সম্পূর্ণ পরিবর্তন আনতে আরও সময় প্রয়োজন।”

 

 

মুখপাত্রের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু এই পরিবর্তনগুলো বাস্তবায়ন হতে কিছুটা সময় লাগবে।

খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ কোটিও ছাড়িয়ে যেতে পারে