জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১০ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯.৫০ শতাংশ বেশি। গত মাসে অনুষ্ঠিত বিমানের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)-এ আয় ও ব্যয়ের এই হিসাব প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন

সড়কে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণে নতুন বিধিমালা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানিয়েছেন, এই সময়ে বিমান এক হাজার ৫৫৬ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে। তবে এক্সচেঞ্জ লস এবং ট্যাক্স পরবর্তী মোট ২৮২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জিত হয়েছে।

এজিএমে জানানো হয়েছে, কোভিড মহামারির পর টানা চতুর্থবারের মতো লাভের ধারা অব্যাহত রেখেছে বিমান। সর্বশেষ ১০ অর্থবছরের মধ্যে ৮ বার নিট মুনাফা অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ২১টি উড়োজাহাজের মাধ্যমে ৩০টি দেশি-বিদেশি গন্তব্যে মোট ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ জন যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ বেশি।

এছাড়া, বিমান ৪৩ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন কার্গো পরিবহন করে ৬৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩ লাখ ৫০ হাজার ২২২ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডেল করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৩.১ শতাংশ বেশি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৩২টি বিদেশি যাত্রীবাহী এয়ারলাইন্স এবং ১৭টি কার্গো এয়ারলাইন্সকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং পরিষেবা প্রদান করেছে। এই অর্থবছরে বিদেশি এয়ারলাইন্সের ৩৩ হাজার ২৯৭টি ফ্লাইটের ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৬০ জন যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদান করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দাবি করেছে, গত ৫৩ বছরে তারা কোনো প্রকার সরকারি ভর্তুকি গ্রহণ করেনি। সম্পূর্ণ নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩টি নতুন উড়োজাহাজ ক্রয়ের জন্য (লোন ও সুদসহ) নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ১২ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ ১০৫ কোটি মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছে।

বিমানের এই অর্জন দেশের বিমান খাতের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ আরো শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।