ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৩৯:২৫ পিএম

গ্রাহকের টাকা দেয়া বন্ধ ১১ ব্যাংকে

৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২:১৯ পিএম

গ্রাহকের টাকা দেয়া বন্ধ ১১ ব্যাংকে

ছবি: সংগ্রহীত

বাংলাদেশে ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকগুলো ছাড়াও অন্তত ১১টি ব্যাংকে এই সংকট প্রকট হচ্ছে। গ্রাহকরা নিজেদের জমানো টাকা তুলতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। নগদ টাকার অভাব শুধু উত্তোলনে নয়, বরং আরটিজিএস এবং বিএফটিএনের মাধ্যমে লেনদেনেও সমস্যার সৃষ্টি করছে।

 

গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা বিভিন্ন ব্রাঞ্চে দৌড়াচ্ছেন, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই টাকা তুলতে পারছেন না। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ব্যাংকের ব্রাঞ্চে তালা ঝোলাচ্ছেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন।

 

 

এই সংকটের মূল কারণ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া, যার মধ্যে ৮টি এস আলমের কবজায় ছিল। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোতে সংকটটি আরও প্রকট, কারণ তারা অন্য ব্যাংকের সঙ্গে তহবিল বিনিময় করতে পারছে না। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রচেষ্টায় সংকট কাটানোর চেষ্টা করছে, ঋণ আদায় বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং নতুন ঋণ বিতরণ কমাচ্ছে।

 

 

একটি সংকটে থাকা ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তাদেরও বেতন পরিশোধের জন্য টাকা তুলতে সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকা তারা পেয়েছে, তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। ব্যাংকগুলো এখন ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পরিকল্পনা করছে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা জানান, ১১টি ব্যাংকের জন্য ৫,৫০০ কোটি টাকার তারল্য সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোকে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা চলছে।

 

 

গ্রাহক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তিনি জরুরি কাজে টাকা তুলতে গিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। অনেক গ্রাহক এখন ব্যাংকের ব্রাঞ্চে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। গত মাসে কয়েকটি শাখায় গ্রাহকদের টাকার অভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা গেছে।

 

 

অর্থনীতিবিদ ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, লুটপাটের কারণে ব্যাংকগুলোর এই দুরবস্থা এবং সংকট দ্রুত কাটার সম্ভাবনা নেই। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

গ্রাহকের টাকা দেয়া বন্ধ ১১ ব্যাংকে