ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড: ১৪ মাসে ৮ জাহাজ রপ্তানির পরিকল্পনা
করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড-এর রপ্তানি কমে যায়। ২০২০ সালে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রপ্তানি করলেও, গত চার বছরে বড় ধরনের কোনো জাহাজ রপ্তা
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১১:০ পিএম
![ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড: ১৪ মাসে ৮ জাহাজ রপ্তানির পরিকল্পনা](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/28/20241228153143_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
চার বছর রপ্তানি বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আগামী ১৪ মাসে অন্তত ৮টি জাহাজ রপ্তানি করবে, যার মধ্যে তিনটি আরব আমিরাতে যাবে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, আগামী মাসে আরব আমিরাতে "রায়ান" নামের একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। এরপর, জুলাই মাসে আরও দুটি এবং ডিসেম্বর মাসে আরেকটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর, আরব আমিরাতে দুটি টাগবোট "খালিদ" ও "ঘায়া" রপ্তানি করার পরিকল্পনা করেছে তারা।
এছাড়া, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে দুটি যাত্রীবাহী জাহাজ "এমভি রুপসা" এবং "এমভি সুগন্ধা" হস্তান্তর করবে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড।
পরবর্তীতে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুটি অয়েল ট্যাংকার জাহাজ রপ্তানি করা হবে। ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রয় আদেশ পেয়ে ইতোমধ্যে জাহাজ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৩১টি জাহাজ রপ্তানি করে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। একই সময়ে, দেশি ক্রেতাদের জন্য কনটেইনার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকার, টাগবোটসহ ৫০টি জলযান তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।
তবে, করোনা মহামারির কারণে ২০১৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হলে প্রতিষ্ঠানটির রপ্তানি কমে যায়। ২০২০ সালে দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রপ্তানি করলেও, গত চার বছরে বড় ধরনের কোনো জাহাজ রপ্তানি করেনি তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে কোনো জাহাজ রপ্তানি হয়নি। সর্বশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ড ডেনমার্কে একটি জাহাজ রপ্তানি করে। এরপর আর কোনো রপ্তানি হয়নি।
বাংলাদেশে জাহাজ নির্মাণ খাতকে সম্ভাবনাময় মনে করায় ২০০০ সালে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে প্রবেশ করে চট্টগ্রাম ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। গত দুই দশকে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ধরনের ১৫০টিরও বেশি জাহাজ তৈরি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে– কার্গো জাহাজ, যাত্রীবাহী জাহাজ, মাল্টিপারপাস আইস-ক্লাস ভেসেল, ল্যান্ডিং ক্রাফট, অফশোর পেট্রোল ভেসেল, টাগবোট, মাছ ধরার জাহাজ, বাল্ক ক্যারিয়ার এবং কনটেইনার ক্যারিয়ার।
![ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড: ১৪ মাসে ৮ জাহাজ রপ্তানির পরিকল্পনা](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)