ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
এ সম্পর্কিত আরো খবর
চাদের ঘোষণায় সংকটে ফ্রান্স
২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ১০:০ পিএম
![চাদের ঘোষণায় সংকটে ফ্রান্স](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/12/02/20241202155838_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
ফ্রান্সের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকা মহাদেশের দেশ চাদ। এমন ঘোষণা ফ্রান্সকে চমকে দিয়েছে। এর ফলে আফ্রিকায় তাদের দীর্ঘ উপস্থিতির ভিত নড়ে গেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ফ্রান্সের আফ্রিকা নীতি এবং তাদের সামরিক সম্পর্কের জন্য একটি বড় ব্যর্থতা।
দুবাইভিত্তিক দৈনিক পত্রিকা খালিজ টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহের শেষদিনে চাদের সরকার ফ্রান্সের সঙ্গে তাদের সামরিক সহযোগিতা শেষ করার সিদ্ধান্ত জানায়। এই ঘোষণার কিছু সময় আগে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জঁ-নোয়েল ব্যারোট চাদ সফর করেন। কিন্তু তিনি বা তার সফরসঙ্গীদের কেউই এ বিষয়ে কিছুই আঁচ করতেও পারেননি। জার্মান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষক উলফ্রাম লাচার বিষয়টিকে ‘মুখ মেরে দেওয়া’ বলে অভিহিত করেছেন। এই পদক্ষেপের ফলে চাদ থেকে ফরাসি সেনাদের চলে যেতে হতে পারে। অঞ্চলটিতে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পশ্চিমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ মিত্র চাদ। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীনতার ছয় দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। চাদ এখন পূর্ণরূপে দেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে চায়।
২০১৯ সালের সংশোধিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সমাপ্তির সিদ্ধান্ত চাদের কৌশলগত অংশীদারত্বকে নতুন করে সংজ্ঞায়নের সুযোগ তৈরি করে দেবে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। চাদ অতীতে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক বাহিনীকে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা করে এসেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটি রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হয়েছে।
চাদ সরকারের সিদ্ধান্তকে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় ফ্রান্সের ঐতিহাসিক ও ঔপনিবেশিক ভূমিকার কফিনে আরেকটি পেরেক হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে মালি, নাইজার ও বুরকিনা ফাসোয় সামরিক অভ্যুত্থানের পর আফ্রিকার এই দেশগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাধ্য হয় ফ্রান্স। এখন ফরাসি সেনাদের চাদও ত্যাগ করতে হতে পারে। বর্তমানে চাদে প্রায় এক হাজার ফরাসি সেনা আছেন। এ ছাড়া দেশটিতে ফরাসি যুদ্ধবিমানও মোতায়েন আছে।
চাদ সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফে লেমোইন বলেছেন, আমরা আফ্রিকায় আমাদের সামরিক উপস্থিতি পুনর্গঠনের জন্য দুই বছর ধরে আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।
তবে চাদ এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নিজেদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে তাদের সম্পর্কের মধ্যে একটি বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। রাশিয়াও আফ্রিকায় তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে। চাদ ও সেনেগাল উভয়ই রাশিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্ক শক্তিশালী করেছে, যা ফ্রান্সের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি ফ্রান্সের জন্য এক বিপজ্জনক সময়ের সূচনা হতে পারে। কারণ তাদের সামরিক উপস্থিতি এখন আফ্রিকায় নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ফ্রান্সের জন্য এই পরিবর্তন অনেক গুরুত্বপূর্ণ, এবং তাদের আফ্রিকা নীতির পুনর্মূল্যায়ন করতে হতে পারে।
টন কার্গো, চার লাখ টিইইউজ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। এতে বন্দরের কার্যক্রমে সংযুক্ত সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, স্টিভেডরিং এবং শ্রমিক শ্রেণির জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
বর্তমান অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ২৯ লাখ টন পণ্য আমদানি রফতানি হয়েছে। এ ছাড়াও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ফলে প্রথমবারের মতো প্রতি ঘণ্টায় ২৪টিরও বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে এবং জেটির সম্মুখে নিয়মিত ড্রেজিংয়ের ফলে নাব্য বিরাজমান থাকার কারণে ৫টি জেটিতে একই সঙ্গে ৫টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হচ্ছে। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল আর ভুটানের ট্রানজিট পণ্য মোংলা বন্দরের মাধ্যমে রফতানির সুসম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। মোংলা বন্দর ব্যবহার করে স্থল, নৌ আর রেলপথের মাধ্যমে রাজশাহী, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের পণ্য পরিবহনকে দ্রুততর ও সহজ করবে বলেও জানান তিনি।
![চাদের ঘোষণায় সংকটে ফ্রান্স](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)