ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ৭:৫৭:৫০ পিএম

চীনে টানা তৃতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস: দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মুখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি

১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩৪ এএম

চীনে টানা তৃতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস: দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মুখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি

ছবি: সংগ্রহীত

চীনে ২০২৪ সালে টানা তৃতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গত ১২ মাসে দেশটির জনসংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটি ৮০ লাখে। যদিও জন্মহার সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, মৃত্যুহার তার তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় এই সংকট তৈরি হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জনসংখ্যা হ্রাসের এই ধারা আগামী দিনগুলোতে আরও তীব্র হতে পারে।

 

 


১৯৮০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চীনের এক সন্তান নীতির প্রভাব এবং দ্রুত নগরায়ণের ফলে জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। ২০২১ সালে তিনটি সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও নগর জীবনের উচ্চ ব্যয়, ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং যুব বেকারত্বের হার নতুন প্রজন্মকে সন্তান গ্রহণে নিরুৎসাহী করছে।

 

 


চীনের জনসংখ্যা সংকট দেশটির অর্থনীতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম, উৎপাদন খাতে প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যার মুখোমুখি এবং বহিরাগত পরিবেশের বিরূপ প্রভাব অর্থনীতিকে আরও চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে।

 

 


জন্মহার বাড়াতে চীন বিবাহবিচ্ছেদ ও গর্ভপাতের প্রক্রিয়া কঠোর করেছে এবং সন্তান লালন-পালনের জন্য দম্পতিদের আর্থিক ভর্তুকি দিচ্ছে। ২০২৩ সালে কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে বিয়ের হার বছরে ১২.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা সামান্য হলেও জন্মহার বাড়াতে সাহায্য করেছে। তবে এই পদক্ষেপগুলো জনসংখ্যা হ্রাসের দীর্ঘমেয়াদি ধারা রোধ করতে পারছে না।

 

 

 

চীন একমাত্র দেশ নয়, যে জনসংখ্যাগত সংকটে পড়েছে। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন। অভিবাসন নীতির সীমাবদ্ধতা এবং সন্তানের উচ্চ লালন-পালন ব্যয় এই সংকটকে আরও গভীর করছে।

 

 

 

চীনের জনসংখ্যা হ্রাস শুধু দেশটির জন্যই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। নীতিনির্ধারকদের উচিত আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।

চীনে টানা তৃতীয় বছরের মতো জনসংখ্যা হ্রাস: দীর্ঘমেয়াদি সংকটের মুখে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি