ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ
ছয় মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ
৩ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:১৭ এএম
![ছয় মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/03/20250103091727_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে রফতানি আয় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ৪ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগের বছরের একই মাসে ছিল ৩ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) রফতানি আয় বেড়েছে ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং উক্ত সময় আয় হয়েছে ২৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ছিল ২১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার।
বৃহস্পতিবার রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে। ডিসেম্বর মাসে পোশাক খাতের রফতানি আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৩ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক থেকে রফতানি আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মাসে হিমায়িত এবং জীবন্ত মাছ থেকে রফতানি আয় ১৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়ে ২৬৪ মিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২১৭ মিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪) চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রফতানি আয় ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে ৫৭৭ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫২৩ মিলিয়ন ডলার।
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৫৯৬ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি। পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮ দশমিক ১১ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং আয় হয়েছে ৪১৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৫৪ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য রফতানি করে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের ১২২ মিলিয়নের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। এদিকে চামড়াজাত পণ্যে ১১ দশমিক ১০ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করা হয়েছে। গত বছরের ১৮২ মিলিয়ন ডলারের বিপরীতে এ খাত আয় করেছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার।
কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা থেকে রফতানি আয় উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে, যা ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এই উদীয়মান খাত আয় করেছে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৯৭ মিলিয়ন ডলার। হোম টেক্সটাইল খাতে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেড়ে ৪১১ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৩৮১ মিলিয়ন ডলার।
স্নোটেক্সট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম খালেদ বলেন, মূলত বিশ্বব্যাপী পোশাক ক্রেতারা চীন থেকে তাদের ক্রয় স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে এবং তারা সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়। ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে রফতানি আয় বেড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতারাও তাদের কাজের আদেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করছে, এটি বৃদ্ধির আরেকটি কারণ।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি কাজের আদেশ প্রবাহ ভালো হওয়ায় আগামী মাসে প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো নতুন মজুরি জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে। যদি মজুরি বৃদ্ধি নির্মাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ব্যবসা করার খরচ বাড়ায় তবে এটি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বৈশ্বিক বাজারে ক্রিসমাস ডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে, নিউ ইয়ারে পোশাক পণ্যের চাহিদা বাড়ে। ফলে এসময়ে বেশি পণ্যের জাহাজীকরণ হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এসময়ে রফতানি বাড়ে। তবে আশার কথা হলো এ বছর কাজের আদেশ বেশি আছে। আমাদের এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। যার জন্য দরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি।
![ছয় মাসে রফতানি আয় বেড়েছে ১২.৮৪ শতাংশ](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)