ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:২৬:৩৫ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৫২ এএম

অনলাইন সংস্করণ

জুন নাগাদ আদানির পাওনা দাঁড়াবে ১৩০ কোটি ডলার

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০:৫২ এএম

জুন নাগাদ আদানির পাওনা দাঁড়াবে ১৩০ কোটি ডলার

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) প্রাক্কলন করেছে যে, আগামী জুন পর্যন্ত ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আমদানি করা বিদ্যুৎ বাবদ বকেয়া অর্থের পরিমাণ প্রায় ১.৩ বিলিয়ন বা ১৩০ কোটি ডলার দাঁড়াবে। বর্তমানে আদানি গ্রুপের প্রায় ৮০ কোটি ডলার বকেয়া রয়েছে এবং এই পরিমাণ পরিশোধে সরকার একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছে।

 

 

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে। বিপিডিবি ও আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেডের (এপিজেএল) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, বিদ্যুৎ বিল কোম্পানির ইনভয়েস দাখিলের ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। তবে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এবং স্থানীয় মুদ্রার স্বল্পতার কারণে নিয়মিত বিল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি, যার ফলে বকেয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সারচার্জও বাড়ছে।

 

 

বর্তমানে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বকেয়া ৫১ কোটি ৩৬ লাখ ডলারে পৌঁছেছে এবং পরবর্তী তিন মাসে আরও প্রায় ২২ কোটি ৭০ লাখ ডলার বকেয়া হয়েছে। বিপিডিবি’র হিসাব অনুযায়ী, আগামী জুন মাস পর্যন্ত বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ১২৯ কোটি ১২ লাখ ডলার হতে পারে। সরকারের পরিকল্পনা হচ্ছে জুন মাসের মধ্যে অন্তত ৮২ কোটি ৭৯ লাখ ডলার পরিশোধ করা, তবে এতে পরবর্তীতে ৪৬ কোটি ৩৪ লাখ ডলার বকেয়া থাকবে।

 

 

এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ বিভাগ সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে, যেখানে ভর্তুকি নিয়মিত ছাড় এবং ডলারের সংস্থান নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

 

 

এদিকে, আদানি পাওয়ার ১৯ জানুয়ারি এক সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, যেখানে তারা বলেছে যে, জুনের মধ্যে বকেয়া অর্থ পরিশোধ না হলে, সারচার্জ দিতে বাধ্য করা হবে। তবে, জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ হলে সারচার্জ মওকুফ করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

 

 

বিদ্যুৎ ক্রয়ের এই অসম চুক্তি পর্যালোচনা করে নতুন চুক্তি করার উদ্যোগও গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে যতদিন নতুন চুক্তি হয়নি, ততদিন পুরনো নিয়মেই বিল পরিশোধ করতে হবে, অন্যথায় বিলম্ব ফির ও সারচার্জ বাড়বে।

জুন নাগাদ আদানির পাওনা দাঁড়াবে ১৩০ কোটি ডলার