ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ২:১৬:৩৪ পিএম

জ্বালানি খাতের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি

২৭ অক্টোবর, ২০২৪ | ৯:৫৫ এএম

জ্বালানি খাতের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি

ছবি: সংগ্রহ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যেকোনো পর্যায়ের দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা বলেন, গত সরকারের মন্ত্রী, সচিব, পরামর্শক, উপদেষ্টাসহ সব জ্বালানি অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। 


গতকাল ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শিরোনামে এক গোলটেবিল বৈঠকে লিখিত বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ দাবি তুলে ধরে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বৈঠকটির আয়োজন করে জাতীয় কমিটি।


বৈঠকে জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘দায়মুক্তি আইন তৈরির সময়ই বোঝা গেছে, ভয়ংকর কিছু ঘটবে। ২০১৫ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকেও দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। একই কোম্পানি ভারতে ৫০০ কোটি ডলার ও বাংলাদেশে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার খরচ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। এখানে অনেক গোপন খরচ আছে।’

 

বিদ্যুৎ খাতে দ্রুত ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ আছে বলে জানান কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘৪০টি ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্র বাতিল ও আটটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া ডলারের বদলে টাকায় হিসাব করে ২০ হাজার কোটি টাকা কমানো যায় ২৪ ঘণ্টায়। সরকারকে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।’

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস, আবুল কালাম আজাদ ও মনোয়ার হোসেনরা জ্বালানি অপরাধী বলে অভিযোগ করেন ক্যাবের উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি তাদের সবার বিচারের দাবি জানান।

 

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিস চৌধুরী বলেন, ‘আগের সরকারকে মুমূর্ষু অবস্থায় আইএমএফ ঋণ দিয়েছে। এ সরকার সেই ঋণের দায় পরিশোধে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এমন ঘটনা একুয়েডরে আছে। এ সরকারও নতুন করে সংস্কারের জন্য আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে। তার আগে সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। না হলে ঋণ কাজে আসবে না।’

 

বৈঠকের শেষে দাবি আদায়ে আগামী ৬ নভেম্বর সারা দেশে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগরীর অন্যতম সমন্বয়কারী জুলফিকার আলী। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা।

 

আগের সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মোশাহিদা বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে উৎসাহী করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে টাকা দেয়া, এলএনজি আমদানি, বিদ্যুতের দাম ১৪ বার বাড়ানো, উৎপাদন না করেও কেন্দ্র ভাড়া দেয়ার ঘটনা ঘটেছে গত ১৫ বছরে। ঋণনির্ভর প্রকল্প নিয়েছে। এসব চালিয়ে যেতে জনস্বার্থবিরোধী আইন করেছে।’ৃওবিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যেকোনো পর্যায়ের দুর্নীতি ও লুণ্ঠনে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। তারা বলেন, গত সরকারের মন্ত্রী, সচিব, পরামর্শক, উপদেষ্টাসহ সব জ্বালানি অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ভারতের আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে বাতিল করতে হবে।

 


বৈঠকে জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘দায়মুক্তি আইন তৈরির সময়ই বোঝা গেছে, ভয়ংকর কিছু ঘটবে। ২০১৫ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকেও দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। একই কোম্পানি ভারতে ৫০০ কোটি ডলার ও বাংলাদেশে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার খরচ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করছে। এখানে অনেক গোপন খরচ আছে।’

 

বৈঠকে অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ বলেন, ‘ব্যক্তির বদল করে ব্যবস্থা না বদলালে, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। তাই ব্যবস্থা বদলের রাজনীতি করতে হবে। কোন জায়গায় সংস্কার করলে ব্যবস্থা বদল হবে, সেটা বুঝতে হবে সরকারের। দায়মুক্তি আইনের অধীনে যেসব দুর্নীতি হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের মূল দাবি, সস্তায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ। গণশুনানির মাধ্যমে এসবের দাম নির্ধারণ করতে হবে।’

 

বিদ্যুৎ খাতে দ্রুত ৪০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ আছে বলে জানান কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা এম শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘৪০টি ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্র বাতিল ও আটটি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাড়া ডলারের বদলে টাকায় হিসাব করে ২০ হাজার কোটি টাকা কমানো যায় ২৪ ঘণ্টায়। সরকারকে এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।’

 

অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিস চৌধুরী বলেন, ‘আগের সরকারকে মুমূর্ষু অবস্থায় আইএমএফ ঋণ দিয়েছে। এ সরকার সেই ঋণের দায় পরিশোধে অস্বীকৃতি জানাতে পারে। এমন ঘটনা একুয়েডরে আছে। এ সরকারও নতুন করে সংস্কারের জন্য আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে। তার আগে সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করতে হবে। না হলে ঋণ কাজে আসবে না।’

 

বৈঠকের শেষে দাবি আদায়ে আগামী ৬ নভেম্বর সারা দেশে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির ঢাকা মহানগরীর অন্যতম সমন্বয়কারী জুলফিকার আলী। লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা।

 

আগের সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নেয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মোশাহিদা বলেন, ‘বেসরকারি খাতকে উৎসাহী করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে টাকা দেয়া, এলএনজি আমদানি, বিদ্যুতের দাম ১৪ বার বাড়ানো, উৎপাদন না করেও কেন্দ্র ভাড়া দেয়ার ঘটনা ঘটেছে গত ১৫ বছরে। ঋণনির্ভর প্রকল্প নিয়েছে। এসব চালিয়ে যেতে জনস্বার্থবিরোধী আইন করেছে।’ৃ

জ্বালানি খাতের দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি