ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জ্বালানির মূল্য শোধে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর
২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৯:৩০ পিএম
![জ্বালানির মূল্য শোধে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2025/01/20/20250120155417_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দেশি ও বিদেশি কোম্পানিরা সরকারের ওপর জ্বালানির মূল্য পরিশোধের চাপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব কোম্পানি দ্রুত টাকা পরিশোধের জন্য একাধিক চিঠি দিয়েছে। সর্বশেষ, আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎ বিভাগে তাদের পাওনা পরিশোধের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। এ ছাড়া শেভরন এবং কাতার গ্যাসও তাদের পাওনা পরিশোধের জন্য সরকারের প্রতি তাগাদা দিয়েছে। তবে জ্বালানি তেল আমদানিতে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে, যদিও ডলার সংকটের কারণে এলসি খোলার সমস্যা অব্যাহত রয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আদানি পাওয়ার কোম্পানি তাদের পাওনা পরিশোধে দেরি হলে অতিরিক্ত সারচার্জের দাবি করেছে এবং এর ফলে ৮৪৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হবে। ইতিমধ্যে, আদানি তাদের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট বন্ধ রেখেছে। তারা চেয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিল পরিশোধ হলে সারচার্জ প্রত্যাহার করা হবে। এদিকে, শেভরন গ্যাস বিক্রির জন্য পেট্রোবাংলার কাছে ২২০ মিলিয়ন ডলার পাওনা দাবি করেছে, যার মধ্যে ৭৫ মিলিয়ন ডলার দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কাতার গ্যাসও তাদের ১৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দিয়েছে।
পেট্রোবাংলা এবং জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কাতার গ্যাসের বকেয়া পরিশোধে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ নির্দিষ্ট সময়ে পরিশোধ না করলে সরবরাহে সমস্যা হতে পারে। শেভরন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে ৬০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করছে এবং এদের গ্যাসফিল্ডগুলোতে উৎপাদন বেশি।
এদিকে, বিপিসি জানিয়েছে, তাদের বকেয়া তেল বিল পরিশোধে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে ডলার সংকটের কারণে তারা এখনও সংকটে রয়েছে। দেশীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিরাও সরকারের কাছে পাওনা পরিশোধের জন্য চাপ তৈরি করেছে, যেখানে তাদের সমন্বিত পাওনা প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
![জ্বালানির মূল্য শোধে চাপ বাড়ছে সরকারের ওপর](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)