ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩ মে, ২০২৪ | ১২:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
টানা চতুর্থবারের মতো কমল যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি
৩ মে, ২০২৪ | ১২:৪৪ পিএম
![টানা চতুর্থবারের মতো কমল যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/05/03/20240503124422_original_webp.webp)
গত এপ্রিলে টানা চতুর্থবারের মতো কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) রফতানি। আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান এলএসইজির প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
এলএসইজির পর্যবেক্ষণ অনুসারে, উৎপাদনসংক্রান্ত জটিলতা রফতানি কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এলএনজি উৎপাদক ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্রিপোর্ট এলএনজি। টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে প্রতিষ্ঠানটির তিনটি ইউনিটে উৎপাদন কার্যক্রম বেশ কয়েক মাস ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে।
বুধবার এলএসইজির প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্র ৭৬ লাখ ১০ হাজার টন এলএনজি রফতানি করেছিল। এপ্রিলে সেটি কমে ৬১ লাখ ৯০ হাজার টনে নেমে এসেছে।
ফ্রিপোর্ট এলএনজির মোট তিনটি প্রাকৃতিক গ্যাস প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট বা ট্রেন রয়েছে। কিন্তু কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ও রক্ষণাবেক্ষণজনিত কারণে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি ইউনিট ছাড়া কোম্পানিটিকে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হয়েছে।
এক প্রতিবেদনে ন্যাচারাল গ্যাস ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, গত সপ্তাহেও আরেকটি ইউনিটে বিভ্রাটের খবর দিয়েছে ফ্রিপোর্ট এলএনজি। তাই বর্তমানে শুধু একটি ইউনিট দিয়ে এলএনজি উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে কোম্পানিটিকে। এমনকি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোয় মোট ক্ষমতার ৮০ শতাংশের নিচে গ্যাস উৎপাদন করেছে ফ্রিপোর্ট এলএনজি, যা যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিক এলএনজি রফতানিতে প্রভাব ফেলেছে।
বরাবরের মতো এপ্রিলেও মার্কিন এলএনজির শীর্ষ গন্তব্য ছিল ইউরোপ। মার্চে মোট রফতানীকৃত এলএনজির ৫৭ শতাংশই অঞ্চলটির বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, এপ্রিলে যা ৫২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
ইউরোপের পরই এশিয়ার দেশগুলোয় সর্বাধিক এলএনজি রফতানি করে যুক্তরাষ্ট্র। এপ্রিলে অঞ্চলটিতে মোট রফতানির ৩২ দশমিক ৬ শতাংশ সরবরাহ করা হয়েছিল। মার্চেও সেখানে একই পরিমাণ এলএনজি রফতানি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কাতার ও অস্ট্রেলিয়াকে পেছনে ফেলে এলএনজি রফতানিতে বিশ্বের শীর্ষস্থানে উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ওই বছর এলএনজির বৈশ্বিক বাণিজ্যে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দেয়। যুদ্ধ শুরুর আগে ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি এলএনজি আমদানি করত। কিন্তু ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা দিলে এ বাণিজ্যপ্রবাহে ভাটা পড়ে। রুশ এলএনজির ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অঞ্চলটি বিকল্প হিসেবে বেছে নেয় যুক্তরাষ্ট্রকে। এর পর থেকেই মূলত ইউরোপের দেশগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি বাড়ছে।
![টানা চতুর্থবারের মতো কমল যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রফতানি](https://i.vatbondhu.com/images/original/2024/04/22/20240422145104_original.png)