ঢাকা শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫ - ৪:৪৪:৩৫ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

৪ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২৭ এএম

অনলাইন সংস্করণ

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ মিথ্যা

৪ মার্চ, ২০২৫ | ১১:২৭ এএম

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ মিথ্যা

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউএসএআইডির ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সোমবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।

 

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ’ নামক একটি প্রকল্প ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ প্রকল্পটি নিয়ে যে তথ্য দিয়েছেন, তা বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

 

 

প্রকল্পটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ইউএসএআইডি কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) নির্বাচিত হয়। প্রকল্পের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।

 

 

২০১৭ সালের মার্চ মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু হয়। শুরুতে এটি ৫ বছর মেয়াদি ছিল এবং বাজেট ধরা হয়েছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তী সময়ে এর মেয়াদ বাড়ানো হয় এবং ধাপে ধাপে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। প্রকল্পের মূল অর্থায়ন ছিল ইউএসএআইডি এবং যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডির (বর্তমানে এফসিডিও) মাধ্যমে। ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।

 

 

প্রকল্পের লক্ষ্য ও কার্যক্রম এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করে শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন করা, প্রতিনিধিত্বমূলক নেতৃত্বের বিকাশে উৎসাহ প্রদান।

 

 

এই প্রকল্পের আওতায় ডিআই বাংলাদেশে জরিপ কার্যক্রমও পরিচালনা করে। প্রকল্পের আর্থিক ব্যবস্থাপনা কঠোর নিয়মের মধ্যে সম্পন্ন হয় এবং মার্কিন সরকারের আর্থিক নিরীক্ষার বিধি মেনে পরিচালিত হয়।

 

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ব্যক্তিগত সংস্থাকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। প্রকল্পটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির আওতায় পরিচালিত হয়েছে। ফলে এ বিষয়ে ট্রাম্পের দেওয়া অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।

 

 

প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি কোনো ব্যক্তির মালিকানাধীন সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হয়নি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।

ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নের অ‌ভিযোগ মিথ্যা