ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১:১৪:৩৫ পিএম

ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি

১২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৯:৫০ এএম

ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি

ছবি: সংগ্রহ

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি তার ঢাকা সফর নিয়ে নয়াদিল্লির সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে দেশটির সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে অবহিত করেছেন। অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিত্ব, বিশেষত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।


পররাষ্ট্রসচিব মিশ্রি জানান, সফরের সময় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার জড়িতদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

 

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে আগে স্বাক্ষরিত কোনো চুক্তি পর্যালোচনা করার কথা বলেননি। এটি দুই দেশের বিদ্যমান সহযোগিতার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতার বার্তা দেয়।


ব্রিফিংয়ের সময় ভারতের কয়েকজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনার বর্তমান অবস্থান এবং মর্যাদা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব মিশ্রি সুনির্দিষ্ট জবাব প্রদান করেন।

 

বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর ব্রিফিং প্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের বাংলাদেশ বিষয়ে একটি চমৎকার ব্রিফিং হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব সফরের সব গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন।"


গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটি নয়াদিল্লি ও ঢাকার মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক যোগাযোগ। সফরের অংশ হিসেবে মিশ্রি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।


ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুই দেশই স্থিতিশীলতা এবং সহযোগিতার উপর জোর দিচ্ছে। মিশ্রির বক্তব্যে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যৎ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

 

শশী থারুর বলেন, "এই আলোচনা খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে, এবং এটি দুই দেশের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ভিত্তি স্থাপন করবে।"


ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতি—এ দুটি বিষয় সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখবে। দুই দেশের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই কূটনৈতিক আলোচনাগুলো আশাব্যঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি