ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৫৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ | ১২:৫৭ পিএম
![তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে অভিযান](https://i.vatbondhu.com/images/original-webp/2024/10/30/20241030125108_original_webp.webp)
ছবি: সংগ্রহ
দেশের গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থার ৫৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। তিতাসের আওতাভুক্ত এলাকায় অবৈধ সংযোগের কারণে বছরে প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার গ্যাস চুরি হচ্ছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ গতকাল বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
তিতাসের অবৈধ সংযোগ ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতির প্রভাব একটি প্রকট সমস্যা হিসেবে দেখা দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান যেমন শিল্পকারখানা এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ গ্যাস ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে যেসব সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে, তা অল্প সময়ের মধ্যেই আবারও পুনঃস্থাপিত হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রভাবশালী, এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাকর্মী প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সংযোগ চালু রাখতে তৎপর থাকে। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার নজিরও নেই।
দেশে গ্যাসের চাহিদা ক্রমবর্ধমান এবং এলএনজি আমদানি করে সেই চাহিদা মেটানো হচ্ছে। অথচ দেশীয় গ্যাস সম্পদ অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে অপব্যবহার হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রায় আমদানি করা গ্যাসও সঠিকভাবে কাজে লাগছে না।
জাতীয় সম্পদের অপব্যবহারের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ করতে হলে অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন একটি সমন্বিত ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। এ সমস্যা সমাধান করতে না পারলে দেশের গ্যাস সংকট অব্যাহত থাকবে এবং জনগণের অর্থনৈতিক ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যাবে। সরকারের পাশাপাশি তিতাস কর্তৃৃপক্ষকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের সুযোগ আর না থাকে।