ঢাকা বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ - ১০:৩৯:৪০ পিএম

ভ্যাট বন্ধু নিউজ প্রতিবেদক

২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:১৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

তিন মাসে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বাড়ল ৩০ হাজার কোটি টাকা

২০ জানুয়ারি, ২০২৫ | ৪:১৪ পিএম

তিন মাসে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বাড়ল ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি: সংগ্রহ

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন ঘাটতি নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন ঘাটতি ৫৫ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে, যা মাত্র তিন মাসে দ্বিগুণ হয়ে ৩০ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা বেড়েছে। এর মধ্যে কিছু ব্যাংক অতিরিক্ত সঞ্চিতি রাখার কারণে সামগ্রিক ঘাটতি কিছুটা কমলেও, অধিকাংশ ব্যাংককে তাদের প্রভিশন পূরণের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক যেমন অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ইত্যাদির প্রভিশন ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি ১৬ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা, এবং সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে জনতা ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক উল্লেখযোগ্য ঘাটতির সম্মুখীন।

 

 

এছাড়া, খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেড়েছে এবং অনেক ব্যাংক ঋণ রাইট অফ করে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর চেষ্টা করছে, যা তাদের ব্যালান্সশিটে প্রতিফলিত হচ্ছে না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং আইন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রভিশন রাখার বাধ্যবাধকতা থাকলেও, বর্তমানে এই প্রভিশন ঘাটতি ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়।

 

 

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম মন্তব্য করেছেন যে, ব্যাংকগুলো তাদের বিতরণ করা ঋণ আদায় করতে ব্যর্থ হচ্ছে এবং এর ফলে অতিরিক্ত প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে, যা দেশের ব্যাংকিং খাতের দুর্বল আর্থিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরে।

তিন মাসে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতি বাড়ল ৩০ হাজার কোটি টাকা